কিশোরগঞ্জে যুবদল নেতাকে পেটালেন জিয়া পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতা-কর্মীরা
Published: 7th, March 2025 GMT
চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা পিটিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মিয়া ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজীবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন নৌশাদকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মিঠামইন বাজারে শিকদার গেস্টহাউসের নিচতলায় নৌশাদ শিকদারকে দেখেই লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন টুটুল ও সজীবের নেতৃত্বে থাকা ১০ থেকে ১২ জন। পরে লোকজন আহত নৌশাদকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে টুটুল মিয়া বলেন, নৌশাদকে তাঁরা পিটিয়েছেন। কারণ, তাঁর বংশের এক ব্যক্তির দোকান প্রায় এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেন নৌশাদ। দোকান চালু করতে হলে নৌশাদকে নাকি এক লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।
এ ব্যাপারে নৌশাদ শিকদার বলেন, ‘তারা কী কারণে আমাকে মারধর করল, তা আমি কিছুই জানি না। আমি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাকে পেটানো শুরু করে দেয়। আমি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘ঘটনার ভিডিও দেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু শোনেননি। তাঁর কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ঠ মইন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি