বাগেরহাটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৭ নেতাকর্মী আহত
Published: 7th, March 2025 GMT
বাগেরহাটের রামপালে বিএনপির ওয়ার্ড-ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন ও সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ক্যাডাররাও অংশগ্রহণ করেছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।
আহতরা হলেন, উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আল আমিন, আজমল শেখ, শহিদ ব্যাপারী, আবুল কালাম, বাবুল শেখ, শামীম শেখ, আহম্মদ আলী, ইসমাইল শেখ, আশরাফ আলী, তাহিদুল ইসলাম, হোসাইন শেখ, তারেক শেখ, ফারুক হোসেন, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, মাহিদ শেখ ও নজরুল ইসলাম। আহতরা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহিদুল ইসলাম, মাহিদসহ ৮ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামপাল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন আমাদের লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এর জেরে তিনি ও তার লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকিও দিয়েছেন। সকালে তার লোক আশা, মনা, মিশকাত ও ছাত্রদল নেতা আবু তালেব চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ১৬ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররাও অংশগ্রহণ করেছেন। পরে আহতদের স্বজনরা ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবা নজরুল ইসলামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। ছাত্রদল নেতা আবু তালেব এখনও আমাকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশকে পুরো বিষয় জানানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবাকে মারধর করেছে একটি পক্ষ। এই নিয়ে মূলত ঝামেলা তৈরি হয়েছে। রামপাল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম পাটোয়ারি ও সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলামের লোকজন এই মারধর করেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি এবং নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নিজ দলের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন শুরু হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। কমিটি গঠন নিয়ে গেল তিন মাসে বিএনপির নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত এবং ২ জন নিহত হয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ছ ত রদল ন ত হ দ ল ইসল ম ন ত কর ম র ল কজন ব এনপ র আম দ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি