পদত্যাগ করতে পারেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম। সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে তাঁরা শুনেছেন।

তবে আজ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম কিছু বলতে রাজি হননি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারে এখন উপদেষ্টা ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন।

আরও পড়ুনপ্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ১০ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ করত ব শ ষ সহক র সরক র র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ছে

শুধু রিট আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক নন, অবশেষে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়িয়ে দশম গ্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেছে।

বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়ার কথা। কিন্তু বিষয়টি আটকে ছিল। কারণ, সম্প্রতি কেবল যে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কেবল সেসব প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়। এ নিয়ে সারা দেশের অন্য প্রধান শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব শিক্ষককে এ সুবিধা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে সারা দেশের সব প্রধান শিক্ষকই দশম গ্রেডের বেতন স্কেল পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ছে