একের পর এক সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যদিয়েই চলছে নারায়ণগঞ্জে দখলদারিত্ব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখানকার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পরিবহন ও ঝুট সেক্টরসহ অনেক বড় বড় সেক্টরগুলো দখল হয়ে গেলেও এখনও বন্ধ করা যাচ্ছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজী।

প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে উঠে আসছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজীর খবর। এবার সেই খবরে যোগ হলো চাষাঢ়ার রেলওয়ের জায়গা দখল করে অটো স্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজীর ঘটনা।

জানাগেছে, চাষাঢ়া আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গাটি দখল করে অটো রিকশা ড্রাইভার-মালিক ঐক্যপরিষদের নামে ভূয়া একটি সংগঠন খুলে স্ট্যান্ড করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি অটো রিকশা থেকে নিয়মিত আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।

যানজট নিয়ন্ত্রণে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের বেতন বাবদ ওই চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছেন ওই ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ। তবে তার কথার সাথে বাস্তবতার মিল বড় কঠিন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেছে, চাষাঢ়া-পঞ্চবটি রুটে প্রায় ৩ শতাধীক অটো রিকশা চলাচল করে। এসব অটো রিকশা থেকে বর্তমানে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। হিসেব অনুযায়ী ৩শ অটো রিকশা থেকে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। 

অথচ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ৪ জনের বেতন বাবদ দৈনিক ৭শ টাকা করে হলে মোট ২ হাজার ৮শ টাকা হয়। বাকি টাকা চাঁদাবাজদের পকেটেই ঢুকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে স্ট্যান্ড করেছেন বলে দাবি করেন। 

তিনি বলেন, আগে আমাদের অটো রিকশাগুলো পঞ্চবটি থেকে অক্টো অফিস পর্যন্ত চলাচল করতো। চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি যাওয়া যাত্রীগুলো অনেক সময় চাষাঢ়া থেকে রিকশা করে অক্টো অফিসে গিয়ে সেখান থেকে অটো রিকশা করে পঞ্চবটিতে যেতো।

কিন্তু শহরে মিশুক চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় ওরা চাষাঢ়া থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে সোজা পঞ্চবটিতে যায়। ফলে যাত্রী সংকটে পরে অটো রিকশা চালকরা। পরে আমরা এ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমরা এসপি অফিসে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও টিআই এডমিন আমাদের এখানে স্ট্যান্ড করার অনুমতি দেন। 

‘রেলওয়ের জায়গা স্ট্যান্ড করতে হলেতো রেলকর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। আপনারা কি সেই অনুমতি নিয়েছেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইদ বলেন, নানা আমরা আপাতত কাউকে জানাইনি। আপাতত গাড়ীগুলো (অটো রিকশাগুলো) রাখাতাছি। পরে স্টেশন মাস্টারকে জানাবো।

এদিকে পুলিশের অনুমতি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে টিআই আবদুল করিম শেখ বলেন, ওই জায়গাতো আমাদের না। আমরা কেন অনুমতি দেবো। আমাদের কথা হলো, অটো রিকশা যেখানেই চলুক আর যেখানেই রাখুক শহরে ঢুকতে পারবে না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ট য ন ড কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত