শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোটা ‘আপাতত’ স্থগিত
Published: 12th, March 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে সব ধরনের কোটার ব্যবহার আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮০তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আপাতত সব ধরনের কোটা স্থগিত করা হয়েছে। ভর্তিতে কোটার ব্যবহার নিয়ে ভর্তি কমিটি অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক কোটা রাখা নিয়ে একটি সুপারিশ করবে, সেই আলোকে ভর্তির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে ২৮টি বিভাগ মিলে আসন আছে ১ হাজার ৬৭১টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগে (এ ইউনিট) ৯৮৫টি এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিভাগে (বি ইউনিট) আসন আছে ৫৮১টি। এ ছাড়া কোটায় ১০৫টি (অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচনা) আসন আছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৮টি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা/হরিজন–দলিত কোটা ২৮, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪, পোষ্য কোটা ২০, চা–শ্রমিক কোটা ৫ ও বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় ১০টি আসন আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত তিনটি ভর্তি কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ৪৬ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ১৮ জন, চা–শ্রমিক কোটায় ৩, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটায় ১১ ও প্রতিবন্ধী কোটায় ৮ শিক্ষার্থী। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ভর্তি হন ২৩ জন। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ৯ জন, মুক্তিযোদ্ধায় ২, চা–শ্রমিকে ৩, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীতে ৭ ও অলিম্পিক কোটায় দুই শিক্ষার্থী।
২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ১৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা বা হরিজন/দলিত কোটায় ১৯, প্রতিবন্ধী কোটায় ১১, চা–শ্রমিক কোটায় ৩ ও বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় দুই শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, মূল আসন ছাড়া অতিরিক্ত হিসেবে কোটার ১০৫টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এসব আসন মূল আসন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলে বিবেচনা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গাছ থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুধসর গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। খায়রুল একই উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুকাদ্দেস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খায়রুল আজ সকালে গাছ কাটার জন্য দুধসর গ্রামের হাজরাতলায় যান। বেলা ১১টার দিকে একটি গাছের ডাল কাটার সময় পা পিছলে তিনি নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ
দুধসর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, হাজরাতলায় একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় খায়রুল নামে এক শ্রমিক গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব আহত হন। সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, গাছ থেকে পড়ে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ