ইউক্রেনকে পুনরায় সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 12th, March 2025 GMT
ইউক্রেনের সাথে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সাথে ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করছে বলে জানানোর পর ওয়াশিংটন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে আট ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রস্তাবটি রাশিয়ার কাছে নিয়ে যাবে এবং বলটি মস্কোর কোর্টে।
তিনি বলেছেন, “আমাদের আশা রাশিয়ানরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘হ্যাঁ’ উত্তর দেবে, যাতে আমরা এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারি, যা প্রকৃত আলোচনা।”
রুবিও জানান, ওয়াশিংটন ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের সাথেই একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চায়।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এর জেরে ইউক্রেনের সাথে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার পর ইউক্রেন জানিয়েছে, শান্তি চুক্তির জন্য যা প্রয়োজন তার সবকিছু করতে প্রস্তুত আছে কিয়েভ।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।