রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মত হওয়ার পর এবার দেশটিতে সামরিক সহায়তা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার সৌদি আরবে আমেরিকা ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক শেষে এসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসে আবারও আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রয়টার্স বলছে, সৌদি আরবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আট ঘণ্টা আলোচনার পর ইউক্রেন জানায়, তারা রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। এর পর এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা অবিলম্বে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং নিরাপত্তা সহায়তা পুনরায় চালু করবে। ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডায়পূর্ণ বৈঠকের পর এগুলো স্থগিত করা হয়েছিল।

বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তিনি রাশিয়ার কাছে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবেন। বল এখন তাদের কোর্টে। রাশিয়া এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া ট্রাম্পও জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করে আলাপ করবেন। তিন বছর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এর পর একবারও যুদ্ধবিরতি হয়নি। এর মধ্যে ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ চলে গেছে রাশিয়ার কাছে। এর আগে ক্রিমিয়া দখলে নিয়েছিল তারা। 

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব সামনে আসার পর এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমাদের প্রথমে এই তথ্য পেতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হওয়ার কথা, যার মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানে নতুন করে ফের ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। 

ইরানের বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক স্থাপনার আশেপাশের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারির কয়েক ঘণ্টা পরেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক স্থাপনার ওপর ইসরায়েলের হামলা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত থাকার সময় এই হামলা চালানো হয়।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলের শক্তি অনুভব করবে ইরান: নেতানিয়াহু

ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে অবশ্যই চুক্তি হবে: ট্রাম্প

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল নতুন করে তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ করেছে, যার মধ্যে উত্তরে নিয়াভারান এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে ভ্যালিয়াসর এবং হাফতে তির স্কোয়ার রয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট নাশকতাকারীদের মাধ্যমে তেহরানে ধারাবাহিক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় ইরানের আরো পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির দক্ষিণে শিরাজে সামরিক স্থাপনাগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।

আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের খুবই ঘনবসতিপূর্ণ একটি শহর, যেখানে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় বহু মানুষ রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, কিন্তু কিন্তু অনেকেই রয়ে গেছেন।

ইসরায়েল ইরানিদের সামরিক ভবনের কাছাকাছি না থাকার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তেহরানের বেশিরভাগ মানুষ জানে না যে, সেগুলো আসলে কোথায় অবস্থিত। তেহরানের সামরিক স্থাপনাগুলো গোপনীয়; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো সাইনবোর্ড ঝুলানোর মতো নয়। 

ইরানে কোনো বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই, তাই ইসরায়েলি হামলার সময় নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য সেখানে সাইরেন বাজছে না। 

ইরানের একজন মুখপাত্রে বলেছেন, দেশটিতে আজ রাত থেকে মেট্রো স্টেশন ও মসজিদগুলো জনসাধারণের জন্য বোমা আশ্রয়স্থল হিসেবে উপলব্ধ থাকবে।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ