Samakal:
2025-06-16@23:06:10 GMT

পুতিন ও ট্রাম্পের নতুন ইউরোপ

Published: 13th, March 2025 GMT

পুতিন ও ট্রাম্পের নতুন ইউরোপ

মস্কোর বিশাল সামরিক সমাবেশ স্পষ্টত কেবল ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে নয়। পুতিন যদি অর্থপূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হন, তবে যুদ্ধ শেষ হবে না। সে রকম কিছু হলে ইউক্রেনের বাইরেও রাশিয়ার আগ্রাসন বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে।

বাস্তবতা হলো, ইউরোপ এখনও অভূতপূর্ব হুমকির মুখোমুখি এবং জেদ্দার আলোচনায় ইউক্রেনের ব্যাপারে অগ্রগতির লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও আমরা একাই এর মুখোমুখি। আরও খারাপ হলো, যখন আমাদের এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মনে হচ্ছে, পুতিন ও ট্রাম্প পরস্পর একটি পরিকল্পনা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। যেমন ইউক্রেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন দালাল ভিচি সরকারের মতো কোনো শাসক বসানো এবং ইউরোপ মহাদেশকে একাধিক প্রভাব বলয়ে বিভক্ত করা, যা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সম্ভবত চীনকেও এ অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে। বেশির ভাগ ইউরোপীয় জনসাধারণ এটি বুঝতে পারছে। ইউরোপীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও এটি বুঝতে পারে। তারা পদক্ষেপ নিতেও শুরু করেছে।

তারা এক ইউরোপের ভিত্তি তৈরি করছেন, যা আমাদের কয়েক দশক ধরে চেনা ইউরোপের চেয়ে ভিন্ন। এই ইউরোপ শান্তির সময়ে গড়ে উঠেছিল। প্রধানত ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক এবং আর্থিক আন্তঃনির্ভরতার মাধ্যমে সেই ইউরোপ অভ্যন্তরীণভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল। ন্যাটোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বহির্বিশ্ব থেকে তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষা জোটের মাধ্যমে অনুগত ট্রান্সআটলান্টিক মিত্র হিসেবে কাজ করেছিল। তারা ওয়াশিংটনকে চুক্তি থেকে উল্লেখযোগ্য লাভ পাওয়ার সুযোগ করে দেয়, যা শুরু হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্প থেকে। ইউরোপীয়রা ওয়াশিংটনের বোকামিকেও আনুগত্যের সঙ্গে অনুসরণ করেছিল। যেমন ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করার জন্য ইরাক আক্রমণ।

তবে একটি নতুন ইউরোপের জন্ম হতে চলেছে। আর এটি কী, তা বলার চেয়ে এটি কী নয়, তা বলা সহজ। এটি ইইউ নয় অথবা আমরা দীর্ঘদিন ধরে যেটিকে অনায়াসে জন্ম নেওয়া বলে ধরে নিয়েছিলাম, তাও নয়। ইইউতে এখন হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবান ও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী পপুলিস্ট জাতীয়তাবাদী রবার্ট ফিকোর মতো ব্যক্তি রয়েছেন, যারা ট্রোজান হর্স বা তাদের ভেতরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে। তারা স্পষ্টতই পুতিনের রাশিয়া এবং ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করছেন।

এ কারণেই আমরা ইমানুয়েল মাখোঁ, কিয়ার স্টারমারসহ ইউরোপীয় নেতাদের জোরালো কণ্ঠস্বর শুনছি। সংকট মুহূর্তে তাদের নিজ নিজ রাজধানীতে জরুরি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করতে দেখেছি, যেখানে আমন্ত্রিত তালিকা সাবধানে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যরাসহ ইউরোপবিরোধীরা আশা করছেন, এর মাধ্যমে একটি অকার্যকর ইইউকে কোণঠাসা করে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলা হয়েছে। 

যে ইউরোপের জন্ম হচ্ছে, তাও ইইউ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নয়। ব্রাসেলসের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে ইউরোপীয় কমিশন, ব্লকের নির্বাহী সংস্থা নতুন ইউরোপ নির্মাণে গভীরভাবে জড়িত। গত সপ্তাহে ইউরো অঞ্চলের রাজস্ব নিয়মের যুগান্তকারী শিথিলকরণ ‘ইউরোপকে পুনর্নির্মাণ’ করার পথে হাঁটছে। সে জন্য ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধি, ইউরোপের প্রতিরক্ষা সমর্থন করতে নতুন আর্থিক উপকরণ কাঠামো গড়ে তোলা, এককভাবে ইইউ বাজার নিশ্চিত করা এবং মহাদেশটির সম্মুখে কৌশলগত অগ্রাধিকার ইত্যাদি। এসব কিছু এটাই নিশ্চিত করবে–  ব্রাসেলসের প্রতিষ্ঠানগুলো চালকের আসনে রয়েছে। 

নতুন ইউরোপ ন্যাটোও নয়। ইউরোপীয়রা ন্যাটো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি, বরং যুক্তরাষ্ট্র তা করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে ইউরোপে, যার মধ্যে ১০ হাজার শুধু পোল্যান্ডেই এবং মহাদেশজুড়ে ৪০টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আমরা সম্ভবত পূর্ব ইউরোপ এবং এর বাইরেও মার্কিন বাহিনীর আংশিক অথবা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার দেখতে পাব।

নাথালি টোকি: গার্ডিয়ানের ইউরোপবিষয়ক কলাম লেখক; দ্য গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প য ইউর প র ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবার ইরানের হামলা, নাগরিকদের নেওয়া হলো সুরক্ষিত এলাকায়

ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ইরান নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের এক মুখপাত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলা ভোর পর্যন্ত চলবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি ও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের প্রতিবেদনেও নতুন করে ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানোর কথা বলা হয়েছে। খবর-গার্ড়িয়ান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি শহর তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত করেছে। এতে চলতি সপ্তাহের জি-৭ বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে যে, এই দুই আঞ্চলিক শত্রুর মধ্যে সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান: ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের হামলার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‌দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব। নাগরিকরা এখন দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যেতে পারে।

এর আগে রোববার সোমবার ভোরে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় চারজন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। এছাড়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে।   

ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি পরিষেবা সোমবার জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের চারটি স্থানে হামলায় চারজন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ, যাদের সকলের বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে: ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলায় শুক্রবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

তেল আবিবের কাছে মধ্য ইসরায়েলি শহর পেতাহ টিকভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সেখানে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করেছে। কংক্রিটের দেয়াল পুড়ে গেছে। জানালা উড়ে গেছে। একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অনুসন্ধান চলছে। যেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

নতি স্বীকারের কোনোও ইচ্ছা নেই: ইরান
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেশটি ইসরায়েলে কমপক্ষে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে উত্তেজনা কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানের কাছে নতি স্বীকার করার কোনোও ইচ্ছা তাদের নেই। কারণ শুক্রবার তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলের আকস্মিক আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারা জোর দিয়েছে।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংক্ষেপে প্রচারিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বর্তমানে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু।’ এতে কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পরে সেটি পুনরায় সম্প্রচারে আসে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের অধীনস্থ ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক (আইআরআইএনএন) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলের হামলার পর আগুনে পুড়তে থাকা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক। ভিডিওটিতে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি নিশ্চিত নন—এই হামলায় তার কতজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সেখানকার বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের পরিচয় কী, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি কর্মকর্তারা।

টেলিভিশনটির একজন সাংবাদিক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, হামলার সময় তারা ভবনটিতে কাজ করছিলেন। তখন সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। কিন্তু আকস্মিক হামলার পর কিছুক্ষণের জন্য সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পর অবশ্য পুনরায় সম্প্রচার কাজ চালু করতে সক্ষম হন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

একপর্যায়ে টেলিভিশনটির সম্প্রচার শাখার প্রধান পেমান জেবেলি রক্তমাখা একটি কাগজ নিয়ে পর্দায় হাজির হন। সেটি দেখিয়ে তিনি বলেন, তারা ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন’।

গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের হামলার আগ মুহূর্তে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পর্দায় উপস্থাপিকাকে দেখা যাচ্ছিল। হামলার সময় উপস্থাপিকাকে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে, গণমাধ্যম কার্যালয়টি ইরান সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

এই হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তেহরানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার পরে ওই হামলাটি চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইরানের স্বৈরশাসক যেখানেই থাকুন না কেন, তাকে আঘাত করা হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ