দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা মূল্যের নেশাজাতীয় ভারতীয় ইনজেকশন ও ফেনসিডিল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চৌঠা গ্রামের একটি লিচুবাগান থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নূর আলম শাহীন (৩৫)। তিনি একই উপজেলার বাকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। বিজিবির দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
আজ সকালে ২৯ ফুলবাড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ওই অভিযানে ১০ হাজার ৮৭০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, পাঁচ বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি জিরা উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি জানায়, নূর আলমের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ