বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে একটি প্রকল্পে মেন্টাল হেলথ সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট (এমএইচপিএসএস) স্পেশালিস্ট পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: মেন্টাল হেলথ সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট (এমএইচপিএসএস) স্পেশালিস্ট

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনিক্যাল বা কাউন্সেলিং সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান সেটিংসে এমএইচপিএসএস প্রোগ্রামে সাইকোলজিস্ট হিসেবে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণসহ বেসিক সাইকোসোশ্যালে দক্ষ হতে হবে। এক্সপ্রেসিভ/ক্রিয়েটিভ থেরাপির অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো। ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে। মাইক্রোসফট অফিস, বিশেষ করে আউটলুক, ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানতে হবে।

বয়স: সর্বোচ্চ ৪০ বছর। তবে অত্যধিক অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (নবায়নযোগ্য)

কর্মস্থল: উখিয়া, কক্সবাজার

বেতন: ৯০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)।

আরও পড়ুনএক্সিম ব্যাংক নেবে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি, লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৫২ হাজার১৪ মার্চ ২০২৫আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের কারিতাস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের এই লিংকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া [email protected] ঠিকানায় সিভি মেইল করেও আবেদন করা যাবে। এই লিংকে আবেদন করার ভিডিও টিউটরিয়াল দেখা যাবে। কারিগরি সহযোগিতায় ০১৭৫৫৫১৮৬৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২২ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনপরিসংখ্যান ব্যুরোতে আবারও বড় নিয়োগ, ২০ ক্যাটাগরিতে পদ ৪৭২১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।

জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।

দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
  • ‘পাহাড়ে শান্তি চেয়েছিলেন এম এন লারমা’