মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরে শেষ হলো রঙিন জার্সিতে বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডব যুগ। সাদাপোশাকে একমাত্র মুশফিকুর রহিম চালিয়ে যাবেন খেলা। এই পাঁচ তারার সময়ে বাংলাদেশ স্বর্ণালি সময়। যদিও কোনো বৈশ্বিক ট্রফি ধরা দেয়নি।

সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের অবর্তমানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াবে কারা এখন, এমন আলোচনা চলছে দেশের ক্রিকেটে। এবার এতে শামিল হলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মিরাজ স্বরণ করালেন তাদের সময়েও বাংলাদেশ কোনো ট্রফি জেতেনি, “আমরা কিন্তু এখনও একটাও ট্রফি জিততে পারেনি। তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে আমরা যেকোনো বড় টুর্নামেন্ট জেতা। একটা ট্রফি জিততে পারলে আমাদের প্রজন্মের জন্য ভালো হবে।”

আরো পড়ুন:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর

৪ ইনিংসে ৩ ফিফটি, মাহমুদউল্লাহ এবার ছুঁলেন ‘২০০’

মাহমুদউল্লাহর প্রস্থান নিয়ে মন্তব্যে মিরাজ বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষেরই একটা সময় নিজের জায়গা থেকে সরে যেতে হয়। তাদের যে দায়িত্বটা ছিল, তারা বাংলাদেশকে একটা ধাপে নিয়ে এসেছে। আমাদের কাজ থাকবে, এখান থেকে আরেকটা ধাপে নিয়ে যাওয়া।”

শনিবার (১৫ মার্চ, ২০২৫) ঢাকা লিগে মোহামেডান-রূপগঞ্জের ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মিরাজ। ব্যাট হাতে ২৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন এই অলরাউন্ডার।

জাতীয় দলে এখন যারা আছেন তাদের সবাইকে নতুন বলতে নারাজ মিরাজ। গুরুত্ব দিয়েছেন পারফরম্যান্সের দিকে, “আমাদের যারা আছি, সবার পারফর্ম করা জরুরি। দলে এখন ৬-৭ জন আছে যারা প্রায় ৭-৮-১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। সবাইকে নতুন বলা যাবে না। যারা আছে নতুন ২-৩ বছর খেলেছে, তাদের সঙ্গে যারা ৮-৯ বছর খেলেছে তাদের মিলিয়ে একটা পরিকল্পনা করে সমন্বয় নিয়ে এগোতে হবে। আমার মনে হয় যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে।”

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও আছে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নিজেদের সেরা সংস্করণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে চান মিরাজ।

“এটা একটা প্রক্রিয়া। এখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং অটল থাকতে হবে। বিশ্বকাপের যে দুই-আড়াই বছর আছে, এখন থেকেই দলটা সেট-আপ করতে হবে, কে কোন জায়গায় খেলবে সেটা নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। ক্রিকেটারদের ওই জায়গায় সুযোগ দিতে হবে। সবাই সবাইকে ব্যাক করতে হবে।”

“বিশ্বকাপের আগে আমাদের যত ওয়ানডে আছে, ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে হবে। আমরা যদি ২-৩ মাস আগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেই, তাহলে কঠিন। তবে এখন থেকে যদি সবাই কাজ শুরু করে, সবাই সম্পৃক্ত থেকে যদি আগে থেকে দলটা সেট করে, তাহলে একটা ভালো হবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এখন থ ক আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি

গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।

মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।

যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।

ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
  • ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান