বিশ্ব যে মুহূর্তে ক্রমে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে, ঠিক সে মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধ এই বিভাজনকে আরও গভীর করেছে। শুরু থেকেই দুটি পক্ষ স্পষ্ট ছিল—একদিকে ছিল রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।

এদিকে গ্লোবাল সাউথের (এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলো) বেশির ভাগ দেশ শুধু চেয়েছে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। তবে এখন বিশ্বরাজনীতিতে পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।

তিন বছর পার হলেও ইউরোপ, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে এখনো ইউক্রেনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত হিসেবে এই যুদ্ধ ইউরোপের মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এটি ইউরোপের নিরাপত্তা সম্পর্কে দীর্ঘদিনের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং শীতল যুদ্ধের সময়কার পারমাণবিক ধ্বংসের ভীতিকে আবারও সামনে এনেছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ইউক্রেনের একটি অংশ দখল করে রেখে একটি শান্তিচুক্তি করার মতোও রাশিয়ার যেকোনো ‘জয়’ ইউরোপের জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

যুক্তরাষ্ট্র এখন আর ইউক্রেন যুদ্ধে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালতে’ চায় না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই যুদ্ধকে ‘অচলাবস্থার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এই যুদ্ধে দুই পক্ষই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান। ইউক্রেন যাতে চুক্তির শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়, সে জন্য ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা প্রথমে স্থগিত করে, পরে আবার চালু করে।

ট্রাম্পের দাবি, ‘বিশ্বের মঙ্গলের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতেই এই চুক্তি হবে।’ তবে ট্রাম্পের দাবি ঠিক নয়। ‘বিশ্বের মঙ্গল’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য নয়। ট্রাম্পের মূল পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিকে দুর্বল করা, যাতে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হয়।

কিন্তু বাস্তবে এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে দুর্বল তো করেইনি, তার বদলে এসব নিষেধাজ্ঞা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এটি পশ্চিমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রচুর সম্পদ ইউরোপের পেছনে ব্যয় করতে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ট্রাম্প এখন ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান, যাতে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক ও কৌশলগত মনোযোগ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (ইন্দো-প্যাসিফিক) কেন্দ্রীভূত করতে পারে। কারণ তাঁর মতে, আমেরিকার আসল প্রতিপক্ষ হলো চীন।

ট্রাম্পের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছিলেন, একমাত্র চীনই যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বশক্তি হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এখনো এক লাখের বেশি মার্কিন সেনা ইউরোপে মোতায়েন রয়েছে। তাই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের সঙ্গে একপক্ষীয় নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না। ইউরোপকে এখন নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। তিনি মনে করেন, ইউরোপ নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিলে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মকভাবে চীনকে প্রতিহত করার দিকে মনোযোগ দিতে পারবে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপ কি নিজের নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম? পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক মনে করেন, ইউরোপের অর্থনৈতিক শক্তি যথেষ্ট, জনসংখ্যাও কম নয়। তাঁর ভাষায়, ‘৫০ কোটি ইউরোপীয় নাগরিক ৩০ কোটি আমেরিকানের কাছে ১৪ কোটি রাশিয়ানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা চাচ্ছে।’

আসল সমস্যা হলো, ইউরোপ এখনো নিজেকে বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে ভাবতে পারছে না। ফলে তারা সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে পারছে না।

ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইউরোপের বড় একটি দুর্বলতা রয়েছে।

ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট উল্লেখ করেছেন, ইউরোপের সামরিক শিল্প এই পর্যায়ের শক্তিশালী নয়, যা ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। এ জন্য রুটসহ ইউরোপের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাইছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবে, আর ইউরোপ তার খরচ বহন করবে।

যদি ট্রাম্প প্রশাসন এটি না মেনে নেয়, তাহলে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পরিকল্পিত ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ (কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং) গঠন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এটি ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে গ্লোবাল সাউথের (উন্নয়নশীল দেশগুলোর) জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানির দাম অনেক বেড়েছে। এটি ছোট ও দুর্বল দেশগুলোর জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করেছে। বিশেষ করে যেসব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম, সেসব দেশের জন্য সমস্যাটি বেশি তৈরি করেছে।

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এর একটি ভালো উদাহরণ। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শেষ করে দেয়। ফলে দেশটিতে তেল, খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট তৈরি হয়। এই অর্থনৈতিক ধাক্কা সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করে, ফলে দেশটির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

এ কারণেই বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশ চায় যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে শেষ হোক, এমনকি এর জন্য যদি ইউক্রেনের কিছু এলাকা রাশিয়ার দখলে থাকে, তা–ও মেনে নিতে হবে।

২০২৩ সালের পর থেকে শান্তিচুক্তির দাবি আরও জোরালো হয়েছে। এমনকি ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের নিজস্ব স্বাধীন অবস্থান নিচ্ছে।

তবে এখনো ইউক্রেন ও ইউরোপ বিশ্বাস করে, শক্তির মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা সম্ভব। ইউক্রেনের প্রতিরোধ প্রশংসনীয় আর আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাশিয়ার অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যুদ্ধ এখন স্থবির অবস্থায় পৌঁছেছে। আর বিশ্বজুড়ে এর নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে।

১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের মতো একই ভুল যেন না হয়, যেখানে দুই বছরের সামরিক অচলাবস্থার পর অস্ত্রবিরতি হয়েছিল। তাই সব পক্ষের উচিত বাস্তবসম্মত চিন্তা করা এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য দ্রুত আলোচনায় বসা।

 ব্রহ্ম চেলানি নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বার্লিনের রবার্ট বোশ একাডেমির ফেলো 

স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন র ইউর প র দ র বল শ ষ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা