ভাড়াটিয়া সেজে যুবককে অজ্ঞান করে লুটপাট
Published: 16th, March 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়াটিয়া সেজে আসা দুর্বৃত্তরা এক সাংবাদিকের বাসা থেকে নগদ দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে। এ সময় চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে ফেলা হয় ওই সাংবাদিকের ছেলেকে। রোববার দুপুরে সাংবাদিক আবু হাসানের ধামরাই থানালাগোয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আবু হাসান দৈনিক কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি। তাঁর বাসাটি থানার কয়েক কদম দূরে। আবু হাসানের ছেলে মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আমি বাসায় একা ছিলাম। দুইজন বোরকা পড়া নারী ও একজন যুবক আসে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য। তাদের সাথে একজন বাচ্চাও ছিলো। রুম দেখার সময় পিছন থেকে ওই যুবক আমার নাক-মুখে কী যেনো চেপে ধরে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা পর আমার জ্ঞান ফিরে।’
এরপর দুর্বৃত্তরা ওই বাসার পাঁচটি কক্ষে হানা দিয়ে আলমারি, শোকেস ভেঙে তছনছ করে। তারা ২ লাখ ২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান সাংবাদিক আবু হাসান। তিনি বলেন, বিষয়টি ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের তিনি দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টপ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’