জস বাটলার অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছেন স্বেচ্ছায়। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক সরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এখন নতুন নেতৃত্বের খোঁজ করছে।

তবে খোঁজাখুঁজিটা একটু কঠিনই হয়ে ওঠার কথা ইসিবির জন্য। প্রার্থী যে অনেক! যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই অধিনায়কত্ব করাটা বিশেষ সম্মানের। অনেকের আগ্রহ থাকাও তাই স্বাভাবিকই। তবে অধিনায়কত্বের জন্য উপযুক্ত নাম অনেক সময়ই খুব বেশি থাকে না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ইংল্যান্ডের বর্তমান দল। অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, আগ্রহ ও পারফরম্যান্সের নিরিখে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে অন্তত পাঁচজন।

বাটলারের উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে হ্যারি ব্রুকের নাম। ২৬ বছর বয়সী এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বাটলারের সহ–অধিনায়ক ছিলেন। গত বছর ইংল্যান্ড দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়ানডে সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এ ছাড়া দ্য হানড্রেডে নর্দার্ন সুপারচার্জারসকেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থতার পর দায়িত্ব ছাড়লেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ব্রুককে ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতও আছে। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসে চুক্তিভুক্ত হওয়া ব্রুক কদিন আগে টুর্নামেন্টটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ হিসেবে জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ততার কথাই জানিয়েছেন তিনি। ব্রুক জানতেন, নিলামে দল পাওয়ার পর চোট বা যথাযথ কারণ ছাড়া আইপিএল থেকে সরে গেলে নিষিদ্ধ করা হবে। পরে দুই বছরের জন্য সেটা হয়েছেনও। আর এই শাস্তির বিষয়টি জেনেবুঝেই ইংল্যান্ড জাতীয় দলে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রুক।

সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি

কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।

টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।

অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।  

ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।

সেঞ্চুরির পর মার্করাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
  • গুম করা হতো তিনটি ধাপে 
  • এক মৃত্যুপথযাত্রী পিতার থেকে ২০টি শিক্ষা
  • রেনু বেগমের ‘বুকভাসা চোখের পানি’ কেন
  • ইরান অনড়, ইসরায়েল কঠোর
  • ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
  • নীরব ভালোবাসার আরেক নাম
  • নারীবাদের ছদ্মবেশে ভারত যখন যুদ্ধ চালায়
  • কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
  • একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি