ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাবিপ্রবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
Published: 16th, March 2025 GMT
ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওই শিক্ষার্থীরা হলেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিকর্ণ দাশ দিব্য এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রণয় কুন্ডু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে রবিবার (১৬ মার্চ) ডিসিপ্লিন বোর্ডের জরুরি মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে ইসলাম ধর্ম অবমাননা নিয়ে বিকর্ণ দাশ দিব্য এবং প্রণয় কুন্ডুর ফেইসবুক পোস্ট এবং কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই তাদের বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাস বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ফার্মেসী বিভাগের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সদস্যদের মেসেঞ্জার গ্রুপের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। ওই গ্রুপে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বিদ্যুৎ সরকার, সুবর্ণা সরকার, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিপু বিশ্বাস, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তনয় সরকার এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অংকন ঘোষ ইসলাম অবমাননা করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
নতুন করে এই পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অবস্থান শুরু করেন।
এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তারা ওই সাত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গিয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফার্মেসী বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা জানান। এরপর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ বর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।