দীর্ঘ ৭০ বছরের শিরোপা খরা অবশেষে কাটল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের। ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে শক্তিশালী লিভারপুলকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। ১৯৫৫ সালে এফএ কাপ জয়ের পর এটাই ইংলিশ ফুটবলে তাদের প্রথম বড় ঘরোয়া শিরোপা।  

লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইতিহাস গড়েছে নিউক্যাসল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ড্যান বার্নের গোল তাদের এগিয়ে দেয়। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান আলেক্সান্ডার ইসাক। ম্যাচের শেষ সময়ে লিভারপুলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন ফেদেরিকো কিয়েসা। তবে তাতে বদলায়নি ফলাফল—জয় নিশ্চিত করে শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়ে নিউক্যাসল।  

ট্রফি উঁচিয়ে ধরে নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারেস আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন। আজ জীবনের সেরা দিনগুলোর একটি। যারা ছোটবেলায় ক্লাবকে সমর্থন করেছে, তারা আজ চ্যাম্পিয়ন নিউক্যাসলকে দেখল। সমর্থকদের কাছে এটি যেন বিশ্বকাপ জয়ের মতোই আনন্দের।’

অন্যদিকে, মৌসুমজুড়ে ছন্দে থাকা লিভারপুল সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবার লিগ কাপের ট্রফিও হাতছাড়া করল। লিভারপুলের কাছে এখন টিকে আছে শুধু প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা–স্বপ্ন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ