পাবসা মানসিক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রম্যমাণ আদালত। পরে তাদের ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

গ্রেপ্তার দালালরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার কেসমত প্রতাপপুর গ্রামের মৃত আকাশ প্রামানিকের ছেলে মামুন হোসেন (৩৬) ও হেমায়েতপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহিদুল ইসলাম কালু (৩৮)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, পাবনা মানসিক হাসপাতালে সম্প্রতি দালালদের উপদ্রব বেড়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছিল। মানসিক হাসপাতালের নাম ও সিল ব্যবহার করে প্রতারণার সঙ্গেও জড়িত ছিল তারা। অভিযোগ পেয়ে পাবনা জেলা এনএসআইয়ের দুইজন সহকারী পরিচালকসহ ৮ জন সদস্য উক্ত এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তথ্য সংগ্রহ করেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দালালদের অবস্থান জানতে পেরে এনএসআই পাবনা কার্যালয়কে জানায়।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় শ্রমিকের কারাদণ্ড

খুলনায় ৩০টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস

এনএসআই পাবনার উপ-পরিচালক বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানান। পরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব পাবনা সদর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দুই দালালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তাদের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী আল মাহমুদ জানান, “দুইজনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো তিনদিন কারাভোগের নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের।”  

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ