ভ্লাদিমির পুতিন আংশিক ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়াযর কয়েক ঘন্টা পরই রাশিয়া কামিকাজে ড্রোন এবং এস-৩০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। বুধবার ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প এবং পুতিন দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও, জ্বালানি ও অবকাঠামোগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা স্থগিত রাখার বিষয়ে একমত হন।

তবে, ফোনকলটি শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই, কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। রাজধানীর আশেপাশের অঞ্চলে প্রায় ৪৫টি ড্রোন হামলা হয় এবং রাতভর রাজধানীজুড়ে বিমান বিধ্বংসী গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুচা ও রাজধানীর আশেপাশের অন্যান্য এলাকায় ড্রোন পড়ে অসংখ্য বাড়ি ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুইজন আহত হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে, একটি ড্রোন একটি হাসপাতাল ভবনে আঘাত হানে যার ফলে ১০০ জনেরও বেশি রোগীকে সরিয়ে নিতে হয়। আরেকটি পৃথক ঘটনায়, পাশের একটি গ্রামে একজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।

ইউক্রেনও রাতারাতি রাশিয়ার উপর দূরপাল্লার ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদার অঞ্চলে একটি তেল ডিপোতে আঘাত হেনেছে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ৫৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার বেশিরভাগই কুর্স্ক অঞ্চলে, যেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী সম্প্রতি গত সাত মাস ধরে তাদের দখলে থাকা একটি ছোট অংশ থেকে সরে যাচ্ছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ