সেচের জন্য বাড়তি টাকা আদায়, চাপে কৃষক
Published: 20th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নলকূপের মালিকেরা সেচের নির্ধারিত দামের বেশি অর্থ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। সেচ মালিকেরা সেচ বাবদ বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ ভর্তুকি পেলেও সুফল পাচ্ছেন না কৃষক। উল্টো নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে সেচের খরচ বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। বেশি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই সেচ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে প্রতিবাদও করছেন না তারা।
উপজেলার আট ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় ৯৪টি গভীর ও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ২ হাজার ৩০৭টি অগভীর সেচযন্ত্র রয়েছে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিকসহ হাজার হাজার কৃষক বিদ্যুৎচালিত এসব সেচযন্ত্রের মাধ্যমে ফসল আবাদ করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ সেচের মালিক বা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এলাকার প্রভাবশালী কৃষকরা।
কৃষি অফিস ও বিএডিসি সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ২২ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ জমিতে বিদ্যুৎচালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে আবাদ হয়ে থাকে। উপজেলা সেচ কমিটি সভা করে সেচের খরচ নির্ধারণ করে দেয়। চলতি বোরো মৌসুমে গভীর-অগভীর সেচযন্ত্রে সেচ সুবিধা পেতে বিঘাপ্রতি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কোনো সেচ মালিক বেশি টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ পেলে কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে এ নিয়ম কেবল কাগজে-কলমে। বাস্তবে নানা অজুহাতে সেচ মালিকরা নির্ধারিত দামের দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা আদায় করেন।
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো.
একই অভিযোগ বারুহাঁস এলাকার কৃষক আলতাফ হোসেন ও ধাপতেঁতুলিয়া এলাকার রবিউল করিমের। তারা বলছেন, বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রে সেচের খরচ বিঘাপ্রতি ৮০০- ৯০০ টাকার বেশি না। অথচ তাদের কাছ থেকে তিনগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। গভীর ও অগভীর সেচযন্ত্র মালিকরা বাধাহীনভাবে ভর্তুকি সুবিধা ভোগ করছেন। প্রতিবাদ করলেই সেচ বন্ধের হুমকি দেন। তারা জুলুম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও দেখার কেউ নেই।
পশ্চিম তাড়াশের বিদ্যুৎচালিত গভীর সেচযন্ত্রের পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিলে সরকারি ভর্তুকি পেলেও সেচযন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, ড্রেন পরিষ্কার, চালক বাবদও যে খরচ হয় তা সেচ মালিককেই বহন করতে হয়। এ কারণে হয়তো সামান্য কিছু টাকা বেশি নেওয়া হয়। কৃষকরা যেভাবে দ্বিগুণ-তিনগুণ বলছেন সেরকম নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি সুইচিং মং মারমা বলেন, সরকার বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। সেই ভর্তুকির টাকা অবশ্যই কৃষককে ছাড় দিয়ে সেচের খরচ নিতে হবে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স চযন ত র র স চ র খরচ ভর ত ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’