আওয়ামী লীগকে ঘুমন্ত দানব আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদের সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা করেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল (রুয়েট এক্স জেসিডি এসোসিয়েশন) নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো.

আব্দুর রাজ্জাক রুহানি, শামীম রাব্বী সঞ্চয়, আব্দুল মোমিন তালকুদার প্রিন্স প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ

জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে: রিজভী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলে, আমরা ১৬ বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি। কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমরা যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি বা চিরস্থায়ী করা যায়; সেজন্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা অর্থাৎ, গণতন্ত্রের উপাদানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বস্তির নিঃশ্বাস দীর্ঘ করতে হলে সামনে বেশকিছুটা পথ আমাদেরকে পাড়ি দিতে হবে। সেই পথ যাতে নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারি; সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। তা না হলে মনে রাখতে হবে যে, পরাজিত স্বৈরাচারের দানব তারা ঘুমিয়ে থাকার ভান ধরলেও মাঝে মাঝে জেগে ওঠার চেষ্টা করবে। সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদের সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ