দানব আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী
Published: 22nd, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে ঘুমন্ত দানব আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদের সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা করেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল (রুয়েট এক্স জেসিডি এসোসিয়েশন) নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রদল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সাবেক মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো.
আরো পড়ুন:
বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ
জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে: রিজভী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলে, আমরা ১৬ বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি। কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমরা যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি বা চিরস্থায়ী করা যায়; সেজন্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা অর্থাৎ, গণতন্ত্রের উপাদানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বস্তির নিঃশ্বাস দীর্ঘ করতে হলে সামনে বেশকিছুটা পথ আমাদেরকে পাড়ি দিতে হবে। সেই পথ যাতে নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারি; সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। তা না হলে মনে রাখতে হবে যে, পরাজিত স্বৈরাচারের দানব তারা ঘুমিয়ে থাকার ভান ধরলেও মাঝে মাঝে জেগে ওঠার চেষ্টা করবে। সেই ঘুমন্ত দানবের যাতে প্রত্যাবর্তন না ঘটে এবং নব্য বাকশাল বা অগণতান্ত্রিক শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সেজন্য যত মতপার্থক্যই থাকুক; আমাদের সাধারণ ঐক্যের মধ্যে থাকতেই হবে।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?