বন্ধু পাভলো হুমেনিউকের (২৪) সঙ্গে সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে বার্তা আদানপ্রদান হয়েছিল মারিয়া পানকোভার। ওই সময় মারিয়ার ধারণা ছিল না যে পাভলো রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করছেন। কিছুদিন পর মারিয়া জানতে পারেন ইউক্রেনের ৪৭ মাগুরা ব্রিগেডের সদস্য পাভলোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মারিয়াকে ওই ব্রিগেডের আরেক সেনা জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর কুরস্কের নভোইভানিভকা গ্রাম থেকে নিখোঁজ পাভলো। মারিয়া বলেন, চার মাস পেরিয়ে গেছে। পাভলোর ভাগ্য এখনো অজানা। তিনি এখনো বেঁচে আছেন কি না তা জানতে ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ সবখানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মারিয়া।

মারিয়া পানকোভা মনে করেন, ইউক্রেন ঝুঁকি নিয়ে রাশিয়ার কুরস্কে যে অভিযান চালিয়েছে, তার অত্যন্ত চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। মারিয়ার মতো এমন কথা ইউক্রেনের অনেকেই এখন বলছেন। তাঁরা এ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

ইতিমধ্যে চলতি মার্চ মাসে রুশ সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক লড়াইয়ের পর ইউক্রেনের সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়েছে। এর পর থেকে ইউক্রেনের অনেকেই কুরস্ক অভিযান নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

চোখের পানি মুছতে মুছতে মারিয়া বলেন, এটার দরকার ছিল কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। মারিয়া বলেন, ‘আমরা অনুপ্রবেশকারী নই। আমরা শুধু আমাদের এলাকা ফিরে পেতে চাই। আমাদের রাশিয়ার কোনো এলাকা দরকার নেই।’

এ বিষয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ আন্দ্রি গনাটভ বলেন, এ অভিযান চালানো হয়েছিল রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে, রুশ সেনাদের মনোযোগ ভিন্নদিকে ফেরাতে। এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে কুরস্কে অভিযান চালানো হয়।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ আরও বলেন, ওই অভিযানের অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে। এ অভিযান ঠেকাতে রাশিয়াকে ৯০ হাজার সেনার বাহিনী গড়তে হয়। এর বাইরে ১২ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কুরস্কে হামলা শুরু করে ইউক্রেন। তাদের আকস্মিক এ হামলায় পুরো বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। ১৯৪১ সালের নাৎসি হামলার পর রাশিয়ায় এত বড় হামলার ঘটনা আর ঘটেনি। ইউক্রেনের সেনাদের আক্রমণে কুরস্কের ১ হাজার ৩৭৬ কিলোমিটার এলাকা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু সেনা-স্বল্পতার কারণে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদের কিনারায় চলে আসে। এ আক্রমণে কিয়েভ মেরিন ও বিমানবাহিনীর সেনা ব্যবহার করে। তবে বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য সেনা অপ্রতুল হয়ে দাঁড়ায়।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কমিটির আইনপ্রণেতা সের্হি রাখমানিন বলেন, শুরু থেকে রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুতরভাবে জটিল ছিল। শুরু থেকে রাশিয়ার জন্য পর্যাপ্ত সেনা থাকার সুবিধা ছিল। গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়া তাদের প্রশিক্ষিত বাহিনীর সঙ্গে ড্রোন সুবিধা যুক্ত করে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনারাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ইউক্রেনের সেনারা।

কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাদের হটিয়ে রাশিয়া মূলত শান্তিচুক্তির আগে ইউক্রেনের হাতে থাকা একটি দর-কষাকষির গুটি ছিনিয়ে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চাপ দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার দাবি হচ্ছে, ইউক্রেনে তারা যে এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, এর দাবি তারা ছাড়বে না।

কুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর সুদঝা থেকে ১৬ মার্চ পিছু হটে ইউক্রেনের বাহিনী। এর পর থেকে ইউক্রেনের জনগণের মনে রাশিয়ায় অনুপ্রবেশের সুবিধা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। কুরস্কের লড়াইয়ে এক হাত হারানো সৈনিক ওলেক্সি দেশেভি বলেন, ‘তিনি এ অভিযানের কোনো যুক্তি দেখতে পান না। তিনি বলেন, আমাদের এ অভিযান শুরু করা ঠিক হয়নি।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেন, তাঁর বাহিনী কুরস্কে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। তবে রুশ বাহিনী তাদের সেনাদের ঘিরে রেখেছে বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে হামলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন রুশ সেনারা।

পাল্টাপাল্টি হামলা

ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সম্মতির কথা বলেছেন পুতিন। তা সত্ত্বেও গত শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি গ্যাস পাম্পিং স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে রুশ বাহিনীর হামলায় জাপোরিঝঝিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনকে সহায়তা জার্মানির

জার্মানির পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা হিসেবে ৩২৫ কোটি ইউরো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সীমিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে জার্মানির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তিন বছর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা রাশিয়ার ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ জব্দ করেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র স ন ন ইউক র ন ক রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পবিত্র কোরআনে ‘রুকু’ কীভাবে এল

আমরা কোরআন তিলাওয়াত করার সময় প্রতিটি সুরার শুরুতেই আয়াত সংখ্যার সঙ্গে ‘রুকু’ সংখ্যাও লেখা দেখি। পৃষ্ঠার মাঝেও রুকু লেখা থাকে। এই রুকু মানে কী? কী কাজ এই রুকুর?

এই প্রবন্ধে রুকুর ধারণা, কোরআন তিলাওয়াতের সঙ্গে এর সম্পর্ক এবং কোরআনে রুকুর সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

রুকু কী

রুকু আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘নমন’ বা ‘বাঁকানো’। নামাজে রুকু বলতে কোমর ঝুঁকিয়ে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অঙ্গভঙ্গিকে বোঝায়।

তবে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে রুকু একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়াতের সংকলনকে বোঝায়, যা তিলাওয়াতকে সংগঠিত ও সহজতর করে। এটি বিশেষ করে হাফেজদের (যাঁরা কোরআন মুখস্থ করেন) জন্য সুবিধাজনক।

ইমাম সারাখসি (মৃ. ৪৮৩ হি.) রুকুকে রাকাতের সঙ্গে সম্পর্কিত করে বলেছেন, এক রাকাতে তিলাওয়াতের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়াতের সংকেত হিসেবে রুকু ব্যবহৃত হতো।কোরআন তিলাওয়াতে রুকুর ভূমিকা

রুকু নির্ধারণের উদ্দেশ্য ছিল তিলাওয়াতের সময় আয়াতের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং বিরতি নেওয়ার সুবিধা প্রদান। ইসলামের প্রাথমিক যুগে, বিশেষ করে হাফেজরা তিলাওয়াতের পর নির্দিষ্ট আয়াতে এসে রুকুতে যেতেন, যা এই প্রথার উৎপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

ঐতিহাসিকভাবে রুকু নির্ধারণের প্রথা মা-ওয়ারাউন্নাহার (বুখারা, সমরখন্দ) অঞ্চলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। এটি তারাবিহ নামাজের সময় কোরআন তিলাওয়াতকে সংগঠিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

ইমাম সারাখসি (মৃ. ৪৮৩ হি.) রুকুকে রাকাতের সঙ্গে সম্পর্কিত করে বলেছেন, এক রাকাতে তিলাওয়াতের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়াতের সংকেত হিসেবে রুকু ব্যবহৃত হতো। অন্য একটি মত অনুসারে, হাফেজরা নির্দিষ্ট পরিমাণ তিলাওয়াতের পর রুকুতে যাওয়ার কারণে এই নামকরণ হয়েছে। (আল-সারাখসি, আল-মাবসুত, বৈরুত: দার আল-মা’রিফা)

আরও পড়ুনধীরে ধীরে কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার কারণ৩০ মে ২০২৫কোরআনে রুকুর সংখ্যা

কোরআনে রুকুর সংখ্যা বিভিন্ন অঞ্চলে ও ঐতিহ্য অনুসারে ভিন্নতা দেখায়। প্রধানত তিনটি ধারা প্রচলিত: ৫৫৮, ৫৪০ ও ৪৮০।

৫৫৮ রুকু: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুসহাফে সাধারণত ৫৫৮টি রুকু ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি সুরায় রুকুর সংখ্যা উল্লেখ থাকে এবং আরবি অক্ষর ‘আইন’ দিয়ে রুকু চিহ্নিত করা হয়। এই চিহ্নে তিনটি সংখ্যা থাকে:

 ১. ওপরের সংখ্যা: সুরার মধ্যে রুকুর ক্রম।

 ২. মাঝের সংখ্যা: রুকুর আয়াতসংখ্যা।

 ৩. নিচের সংখ্যা: পারার (জুজ) মধ্যে রুকুর ক্রম।

 এই পদ্ধতি তিলাওয়াতকে সুসংগঠিত করে এবং হাফেজদের জন্য সুবিধাজনক। (সিদ্দিকি, এ, ২০১৭, কোরআনিক ম্যানুস্ক্রিপ্টস অ্যান্ড দেয়ার ডিভিশনস, জার্নাল অব ইসলামিক স্টাডিজ, ২৮(২), (১৪৫-১৬৭)

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুসহাফে সাধারণত ৫৫৮টি রুকু ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি সুরায় রুকুর সংখ্যা উল্লেখ থাকে এবং আরবি অক্ষর ‘আইন’ দিয়ে রুকু চিহ্নিত করা হয়।

৫৪০ রুকু: বুখারায় প্রথম রুকু নির্ধারণের সময় এর সংখ্যা ছিল ৫৪০। বুখারার মাশায়েখরা রমজানে তারাবিহ নামাজে প্রতি রাকাতে ১০টি আয়াত তিলাওয়াতের প্রথা অনুসরণ করতেন। এভাবে ৩০ দিনে কোরআনের প্রায় ৬ হাজার আয়াত তিলাওয়াত হতো। তবে দশ আয়াতের ভিত্তিতে তিলাওয়াত করলে বিষয়বস্তুর মাঝখানে বিরতি পড়ত, তাই তারা বিষয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য রুকু নির্ধারণ করেন। (রহিম বখশ, আল-খাত্ত আল-উসমানি ফি রাসমিল কোরআন, লাহোর: মাকতাবা কুদ্দুসিয়া, ১৯৮২)

৪৮০ রুকু: সিন্ধুর হাশিম থাট্টুভি কোরআনের রুকুসংখ্যা ৪৮০ নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি সুরাভিত্তিক নয়, বরং পারাভিত্তিক রুকু নির্ধারণ করেন। প্রতি পারায় ১৬টি রুকু ধরে ৩০ পারায় মোট ৪৮০ রুকু হয়।

তিনি ‘রুকু’ শব্দের পরিবর্তে ‘মাকরা’ বা ‘মাকারি’ শব্দ প্রস্তাব করেন, যা ‘কিরআত’ (পাঠ্যাংশ) থেকে উদ্ভূত। (আজমি, এম এম, ২০০৩, দ্য হিস্ট্রি অব দ্য কোরআনিক টেক্সট: ফ্রম রেভল্যুশন টু কম্পাইলেশন, যুক্তরাজ্য: আল-কোরআন সোসাইটি)

আরও পড়ুনসহজে কোরআন বোঝার পাঁচটি কৌশল০৩ মে ২০২৫রুকুর প্রচলন

হিজাজ, আন্দালুসিয়া, মিসর, আফ্রিকা ও সিরিয়ায় রুকুর প্রচলন তেমন ছিল না। রুকুর প্রচলন মূলত মা-ওয়ারাউন্নাহার (বুখারা, সমরখন্দ), ভারতবর্ষ ও তুরস্কে ব্যাপক ছিল। ওসমানি খেলাফতের পর তুরস্কে এটা বিলুপ্ত হয়ে, তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখনো রুকুর প্রচলন আছে।

বুখারার মাশায়েখরা রমজানে তারাবিহ নামাজে প্রতি রাকাতে ১০টি আয়াত তিলাওয়াতের প্রথা অনুসরণ করতেন। তবে এভাবে তিলাওয়াত করলে বিষয়বস্তুর মাঝখানে বিরতি পড়ত, তাই তারা বিষয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য রুকু নির্ধারণ করেন।

ইমাম দানি (মৃ. ৪৪৪ হি.) তাঁর গ্রন্থ আল-বায়ান ফি আদ্দি আয়িল কোরআন-এ কোরআনের বিভিন্ন ভাগ নিয়ে আলোচনা করলেও রুকু নিয়ে বিস্তারিত বলেননি। তবে ইমাম সারাখসি এবং রহিম বখশ তাঁদের লেখায় রুকুর ঐতিহাসিক বিবরণ দিয়েছেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে সাহাবিরা ১০টি আয়াত করে মুখস্থ করতেন এবং এর ব্যাখ্যা বুঝে পরবর্তী আয়াত শিখতেন, যা রুকু নির্ধারণের প্রাথমিক ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। (আল-দানি, আল-বায়ান ফি আদ্দি আয়িল কুরআন, কায়রো: দার আল-মা’আরিফ)

সারকথা, রুকু কোরআন তিলাওয়াতকে সহজ ও সংগঠিত করে, বিশেষ করে হাফেজদের জন্য। এটি ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে প্রচলিত একটি পদ্ধতি, যা বুখারা, সমরখন্দ ও ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। ৫৫৮, ৫৪০ ও ৪৮০ রুকুর ধারা বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত হলেও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ৫৫৮ রুকুই বেশি ব্যবহৃত হয়।

লেখক: খণ্ডকালীন শিক্ষক, আরবি বিভাগ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুনযে ঘটনায় কোরআনে পূর্ণ দুটি রুকু নাজিল হয়১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ