দেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে আগামী এপ্রিলে একটি শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশে স্টারলিংকের ‘টেস্ট রান’ করা হবে।

সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ

তিনি বলেন, “একে আমরা বলছি স্টারলিংকের ডেমু ডে।”

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।”

তিনি বলেন, “আমরা মূলত পাঁচটি প্রধান খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরব। নবায়নযোগ্য শক্তি; ডিজিটাল অর্থনীতি; পোশাক ও টেক্সটাইল; স্বাস্থ্য সেবা ও ফার্মা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ।প্রতিটি বিষয় আলাদা সেশনে আলোচনা করা হবে, যেখানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান, অংশীদারিত্ব গঠন এবং ব্যবসার ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবে এ সম্মেলন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলনির্ভর ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। এটি সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দেয়।

স্টারলিংক হচ্ছে আমেরিকান মহাকাশ প্রযুক্তি কম্পানি স্পেসএক্সের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান। এটি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সেবা দেয়।

স্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের একটি সমষ্টি হচ্ছে স্টারলিংক। এই উপগ্রহগুলোর মাধ্যমে এটি পুরো বিশ্বকেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ