ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
Published: 24th, March 2025 GMT
এবার ঈদ উপলক্ষে দেশে টানা ৯ দিন ছুটি। সে কারণে এই কয় দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন লেনদেনের সুবিধার্থে ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সার্বক্ষণিক সচল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, ঈদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), কিউআর কোড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করা ও এটিএম বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত তা সমাধান করা এবং পর্যাপ্ত টাকার সরবরাহ নিশ্চিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বুথে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বুথ পরিদর্শন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক পিওএস ও কিউআর কোড সেবা নিশ্চিত করা এবং জালজালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করতে হবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। একই সঙ্গে এমএফএস সেবায় সব ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ব্যবস্থা ও এজেন্ট পর্যায়ে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদের ছুটিকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন সহায়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর পর য প ত ল নদ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।