পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়াগোপালপুর নতুনপাড়া, বিলপাড়া ও ইরকোন গেট এলাকার শতাধিক দুস্থ পরিবারের সদস্যদের প্রায় সবাই হতদরিদ্র। তাদের বেশির ভাগই শহরে বাসাবাড়িতে কিংবা মাঠে কাজ করেন। কেউ কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ভিক্ষাবৃত্তি করেও জীবিকা নির্বাহ করেন। ঈদ এলে এসব হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দের পরিবর্তে হতাশা নামে। কারণ, এসব পরিবারে নিজ থেকে ঈদের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। এই বিবেচনায় এবার ঈদে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের উদ্যোগে মানবিক আয়োজন করে শতাধিক দুস্থের মাঝে ‘ঈদ উপহার’ হিসবে নতুন শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রিপিস দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ঈশ্বরদীর সাঁড়াগোপালপুল এলাকার বিনা পয়সার পাঠশালায় এ মানবিক উদ্যোগের আয়োজন করা হয়। ঈদ উপহার দেওয়ার আয়োজন করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিট। বিনা পয়সার পাঠশালা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ। বিনা পয়সার পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের অন্যতম উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, পাতিবিল বস্তি ও সাঁড়াগোপালপুর এলাকার দুস্থদের তালিকা তৈরি করে তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিহাব উদ্দিন, পৌর ভূমি কর্মকর্তা আফছার আলী, সুহৃদ উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম বাবু, ব্যবসায়ী তানজিরুল আলম মিটো, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, আনিসুজ্জামান সোহানসহ ঈশ্বরদীর সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, ঈশ্বরদী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।