বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান ৩, শীর্ষে দিল্লি
Published: 25th, March 2025 GMT
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় রয়েছে রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা শীর্ষ ৩-এ রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৮৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সময় ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৩৮), বেচারাম দেউড়ি (২১৮), সাভারের হেমায়েতপুর (২০৯)। এসব এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
তালিকায় এরপরেই রয়েছে মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (১৯২), গুলশান লেক পার্ক (১৮৮), তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম (১৮৫), ও কল্যাণপুর (১৮৩)। সকালে এসব এলাকায় বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৩), দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেনেগালের ডাকার (২২৫)। এ দুই শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তানের লাহোর (১৮৪), ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৭৬) ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (১৬৯)। এ সময় শহরগুলোর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ দেশে অল্প খরচে পড়তে পারেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
উন্নত শিক্ষা বা ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে অনেক শিক্ষার্থীরই ভাবনায় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনার। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবনব্যবস্থার সঙ্গে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমান অনেক শিক্ষার্থী। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া, আমেরিকার বিভিন্ন দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ আছে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যায়। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম ১০ গন্তব্য হতে পারে এসব দেশ—
জার্মানিবিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পছন্দের দেশ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশির ভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোনো ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সঙ্গে টিউশন ফির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহন, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্রসংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর মতো হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়েএখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত। প্রতি সেমিস্টারে শুধু একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরোর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহন, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলোসহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ইউরোর মতো খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোয় গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ইউরোর মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিলের সৌজন্যে