আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সংবাদপত্রে তিন দিন বন্ধের ঘোষণার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)।

বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বিএফইউজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো.

শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইআরএফের সভাপতি দৌলত আখতার মালা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ডিএসইসির সভাপতি মোক্তাদির অনীক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো নোয়াবের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ঈদ ছুটি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে ছিল। কিন্তু নোয়াব এখনও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় এবং সাংবাদিকদের দাবি আমলে না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

নোয়াবের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে। নোয়াবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন। ঈদে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে এবার আগে-পরেও মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবকিছু মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ যাবে ছুটির মধ্যে। অথচ সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে নোয়াবের মাত্র ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছু নয়।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা নোয়াবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ছুটি বৃদ্ধির দাবি করছি। কারণ, সারা জাতি যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন নোয়াব গণমাধ্যমকর্মীদের নতুন করে বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেওয়া অমানবিক-নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছু না। সাংবাদিক সমাজের যৌক্তিক দাবিকে আমলে নিয়ে ছুটি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।  

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ছয় ধরনের তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি।

এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রবি আজিয়াটার ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

মার্জিন রুলসের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিল পুঁজিবাজার টাস্কফোর্স

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসইসির জরুরি সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ সভাং উপস্থিত ছিলেন।  

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরাও সভাং অংশ নেন।

সভায় পুঁজিবাজারে আস্থা বৃদ্ধির জন্য তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিকে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ছয় কর্মপরিকল্পনা
স্টক ইনডেক্সের নিয়মিত নিম্নমুখিনতার মূল কারণ উদঘাটন: যে সব ইন্ট্রুমেন্ট বা স্টক ইনডেক্সে বেশি প্রভাব ফেলে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে মার্কেট সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে সেই স্টকে সেল প্রেসার ছিল কি না, তার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

বিনিয়োগ স্বাক্ষর বিনিয়োগ সচেতনতার উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ: ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো এবং বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, বিআইসিএম ও বিএএসএম-কে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট শিক্ষনীয় ভিডিও তৈরিতে সমৃক্ত করা। সেই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত করা: পুঁজিবাজারে রাষ্ট্র মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানির শেয়ায় অফ-লোড করা, বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা এবং টেক্সটাইল ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের দেশীয় লাভজনক কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা।

অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দেওয়া: আকর্ষণীয় কর ছাড় সুবিধা দিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন সীমিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারের তালিকায় আসতে উৎসাহ দেওয়া।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি: পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য দেশের আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া।

আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় সুবিধার অন্তর্ভুক্তি: লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর ছাড় সুবিধা প্রদান এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় সুবিধা প্রদানের বিষয়টি আসন্ন জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে সুবিধা বৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে করসুবিধা দেবে সরকার
  • কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন রাশেদ মাকসুদ
  • ২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিএসইসির আদেশ জারি
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিএসইসি
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে: বিএসইসি
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে
  • পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ
  • কর অব্যাহতির রাস্তা সামনে কঠিন হবে
  • বেশি ঋণ করে ‘গণি মিয়ার’ মতো সমস্যায় পড়তে চাই না: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত