টাঙ্গাইলে যমুনা সেতু এলাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়লেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। আজ শুক্রবার ভোর থেকেই এমন চিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর, সাভার অঞ্চলের পোশাক কারখানায় ছুটি শুরু হয়েছে। তাই চাপ বাড়ছে যানবাহনের। তবে এই মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের সুবিধা নিয়ে চলাচল করতে পারছে। তাই যানজটে পড়তে হচ্ছে না। এর আগে ঢাকা থেকে চার লেন সড়ক ব্যবহার করে যানবাহন এলেঙ্গা পর্যন্ত আসত। এর পর থেকে যেতে হতো দুই লেন সড়কে। এতে সৃষ্টি হতো যানজটের।

টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের রাবনা মোড়ে কথা হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বাসের সুপারভাইজার সুজাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, সকাল পৌনে সাতটায় ঢাকার গাবতলী টার্মিনাল থেকে রওনা হয়েছিলেন। পথে সাভারের নবীনগর ও গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় যানজটে পড়তে হয়। তারপর টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসতে কোথাও যানজটে পড়তে হয়নি। সোয়া তিন ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। স্বাভাবিক সময় এ পথটুকু আসতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, সেতুতে টোল দিতে গিয়ে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সেতুর দুই প্রান্তেই টোল বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতি প্রান্তে ছয়টি বুথে টোল আদায় করা হতো। ঈদে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে প্রতি প্রান্তে ৯টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের টোল পৃথক লেনে নেওয়া হচ্ছে। তাই সেতু এলাকায় টোল দিতে গিয়ে যানজটে পড়তে হচ্ছে না।

২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা

যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ছিল ২০ হাজার ২৪১টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার ৬৫ কিলোমিটার অংশে সাত শতাধিক পুলিশ যানজট যেন না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই এবার তেমন যানজট নেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য় য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ