গ্রেপ্তারের পর বের হয়ে যাচ্ছে ডাকাত-ছিনতাইকারীরা
Published: 30th, March 2025 GMT
রাজধানীতে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের ফাইম খান (২১)। সূত্রাপুর থানার মামলায় ১৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের পরদিন তাঁর জামিন হয়। তাঁর মতো গত আড়াই মাসে রাজধানীতে ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলায় গ্রেপ্তার অন্তত ১৫০ জন জামিন পেয়েছেন। গত সপ্তাহের কেবল প্রথম দুই কর্মদিবসে অন্তত ৪০ জনের জামিন হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ছিনতাই, দস্যুতা ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একধরনের শঙ্কা তৈরি হয়। ঢাকা ও এর আশপাশে ২৭৯টি ছিনতাইপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে র্যাব।
ছিনতাই-ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নানা অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ছিনতাই-ডাকাতির মামলার অনেক আসামি জামিনে বেরিয়ে আসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে চিন্তা দেখা দিয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৪২৬টি, যা আগের একই সময়ে ছিল ১৮২টি। অর্থাৎ ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ। সর্বশেষ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে ১৪৬টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৬২টি।
গত সাত মাসে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৩৮টি, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ৭৩৫টি। অর্থাৎ দস্যুতা বেড়েছে ৪১ শতাংশ। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ৪২২টি। গত বছর এই দুই মাসে দস্যুতার ঘটনা ঘটে ২৩৫টি।
* গ্রেপ্তারের এক দিন পরেও ডাকাতির মামলার আসামির জামিন। * জামিন হলেও অন্য মামলা ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর চিন্তা পুলিশের। * তথ্যভান্ডারের মাধ্যমে অপরাধীদের ওপর নজরদারি চলছে। * অপরাধীদের জামিনের বিষয়ে সরকারের কাছে পুলিশের উদ্বেগ।এ অবস্থায় ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এসব অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এ ধরনের মামলার আসামিরা কোনো পক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে জামিন পাওয়ার পথ তৈরি করছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখতে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরাধ অনুযায়ী মামলা না নিয়ে দুর্বল ধারায় মামলা হচ্ছে কি না, তা–ও দেখতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস) মো.
জামিনের বর্তমান চিত্র
ছিনতাই-ডাকাতির মামলার আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার একই ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে—পুলিশের মাঠপর্যায় থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অভিযোগ আসছিল। পরিস্থিতি বুঝতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন ইউনিটকে মামলা ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এ ধরনের আসামিদের জামিনের হিসাব তৈরি করতে বলা হয়। সেখান থেকে জামিনের একটি চিত্র পাওয়া গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীতে ৩২০টি মামলায় ৮৫২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১৪২ জন জামিন পেয়ে গেছেন। দুজনকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দণ্ডবিধি অনুযায়ী, দস্যুতার ক্ষেত্রে অপরাধীর সংখ্যা এক থেকে চারজন হয়ে থাকে। আর চারজনের বেশি ব্যক্তি দস্যুতায় জড়ালে তা ডাকাতি হিসেবে গণ্য হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ছিনতাই মামলাসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারী আসামিদের জামিনে মুক্ত হওয়া নিয়ে অসন্তোষের কথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকৃত অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পায়, সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ কারাগারে থাকায় এ ধরনের অপরাধ কমেছে। তিনি বলেন, ‘মামলার দুর্বলতার কারণে কিছু আসামির জামিন হতে পারে। তবে প্রসিকিউশন থেকে আমরা এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) দেখাচ্ছি। এরপর অস্বাভাবিকভাবে কারও জামিন হলে সেই বিষয় খতিয়ে দেখা উচিত।’
জামিনে মুক্তদের ওপর নজরদারি
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ছিনতাই-ডাকাতির মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে নতুনভাবে কোনো অপরাধে জড়াচ্ছে কি না, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সেদিকে নজর রাখতে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, নজরদারির ক্ষেত্রে পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে ছিনতাইকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। এ ধরনের পেশাদার অপরাধীদের যারা জামিনে বের হচ্ছে, তাদের অন্য মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখাতে বলা হচ্ছে। আলোচিত অপরাধীরা জামিন পেলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) যেন জানানো হয়, সে বিষয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে।
গত ১৩ জানুয়ারি কলাবাগান থানার ডাকাতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন সোহেল রানা ওরফে স্পিকার সোহেল (৩৩)। এই মামলায় জামিন পেলে ১৬ জানুয়ারি একই থানার আরেকটি মামলায় তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
একইভাবে ২৭ জানুয়ারি পল্লবী থানার একটি ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হন মো. মলিন খান (২৪)। ৩ মার্চ এই মামলায় তাঁর জামিন হলে ৯ মার্চ আরেকটি মামলায় তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অভ্যাসগত ও দাগি অপরাধীদের জামিনে বের হয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এ জন্য এ ধরনের অপরাধীদের যারা কারাগার থেকে বের হয়েছে, তাদের গতিবিধির ওপর পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
প্রয়োজন কঠোর তদারকি
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আদালত অপরাধের মাত্রা বা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে কাউকে জামিন দিতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মামলার তদারকিতে উদাসীনতা প্রকৃত অপরাধীর জামিন পাওয়ার পথ তৈরি করে। পেশাদার অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে জামিনের নেপথ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘জামিন বাণিজ্য’ থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্বল ধারায় মামলা এবং অপরাধের বিবরণকে হালকাভাবে উপস্থাপন করে প্রকৃত অপরাধীদের জামিন করানো হয়। সুতরাং এর পেছনে কারও গাফিলতি বা অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটি গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ নত ই ড ক ত র ম ধরন র অপর ধ ড ক ত র ঘটন প রথম আল ক ত অপর ধ র ম ঠপর য য় অপর ধ দ র এ ধরন র নজরদ র অন য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান বলেছেন, ‘আমাদের যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে, তার একটি হলো ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক গণতন্ত্রের দেশ নয়। এখানে গণতন্ত্র চলছে না। কার্যত এটা পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে।’
টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (টিজিআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আইরিন খান এ কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত বুধবার ‘আইন থেকে অধিকার: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ডিজিটাল স্বাধীনতার সুরক্ষা’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবিনারে বিদ্যমান ও নতুন সাইবার আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নাগরিকদের ওপর নজরদারিসহ ডিজিটাল সুশাসন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। টিজিআই–এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৯ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।
ওয়েবিনারে সূচনা বক্তব্য দেন টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশীদ দিয়া। গত বছরের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাবহানাজ রশীদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে কিছু উল্লেখযোগ্য তদন্ত, কমিশন ও প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা নির্বিচার গ্রেপ্তার হতেও দেখেছি।’
টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। অতীতে আমাদের বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, এই আইন বাংলাদেশে নজরদারির সবচেয়ে সহায়ক এবং একই সঙ্গে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করেছে।’
আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা খাতের বিষয়গুলো নিয়ে আইরিন খান বলেন, ‘আমাদের একটি অন্তর্বর্তী সরকার আছে, যার কর্তৃত্ব সীমিত। আমাদের একটি নিরাপত্তা খাত আছে; এই একটি মাত্র খাতে অভ্যুত্থান ও পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা খাতে সংস্কার নিশ্চিত করতে আমরা কী করতে পারি?’
জাতিসংঘের বিশেষ এই র্যাপোর্টিয়ার বলেন, ‘এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা খাতকেই সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে হবে (বর্তমান সরকারকে)। এখনো তাদের কাছে সব ধরনের (নজরদারি) সরঞ্জাম রয়েছে। আর সে কারণে পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব কে দেবে, তা নির্ধারণে অন্য সবার চেয়ে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে।’
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ডিজিটাল পরিসরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকার কী করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনায় আইরিন খান বলেন, ‘ডিজিটাল নিয়ে ভাবুন। আমি মনে করি না, সরকার তা করছে। তবে অন্য সবাই ডিজিটাল নিয়ে ভাবছে। তাই সরকারের ডিজিটাল নিয়ে এবং ডিজিটাল পরিসরে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে ভাবা দরকার। (ইন্টারনেট) কোম্পানিগুলোকে ডাকুন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং ডিজিটাল পরিসর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা মানুষকে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও বুঝতে দিন।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিনের প্রোগ্রাম অফিসার ডায়নাহ ফন ডার গেস্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, নজরদারি নিজে থেকে অবৈধ নয়। সর্বত্র রাষ্ট্রগুলোর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধের তদন্ত করা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু নজরদারি যখন ব্যাপক, অস্বচ্ছ ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়, তখন তা একটি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করে।’
ওয়েবিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ডিজিটাল স্বাধীনতা যেমন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং অনলাইনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে সাইবার আইন ও এর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ; ডিজিটাল পরিসরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে এতে আলোচনা হয়েছে।