পেশায় সাংবাদিক হলেও গানটা যেন মিশে আছে তাঁর রক্তে। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রাণের টানেই গানটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রেজা করিম। তবে মাঝখানে কিছুদিন দূরে ছিলেন গান থেকে। ৫ বছর পর আবারও নিজের গান নিয়ে সংগীতজগতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরেছেন রেজা। তাঁর নতুন মৌলিক গান ‘বাউলা বাতাসে’ এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরে। গানটি ‘ওভারডোজ’ এবং রেজা করিমের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে গানটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রেম-বিরহের নিরন্তর অনুভূতিকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে গান ‘বাউলা বাতাসে’। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি তাতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী নিজেই। গানটির সংগীতায়োজনে ছিলেন নাদিম ও জুয়েল মাহমুদ।
গানটি প্রসঙ্গে শিল্পী রেজা করিম বলেন, ‘বাউলা বাতাসের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমার নতুন কোনো গান প্রকাশ হতে যাচ্ছে, এটা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা যারা গানটি তৈরির পেছনে ছিলাম, সবাই খুব আন্তরিকতা দিয়ে ভালো একটা কিছু করার চেষ্টা করেছি। গানটি শ্রোতারা উপভোগ করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।’

রেজা করিম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় মেয়ে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় রিকশা চালক বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক জিতু ইসলাম (৪২), তার সহযোগী শফিকুল হাসান বিপ্লব (২৮) এবং মতিউর রহমান মতি (৩০)।

এর আগে বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকার রিকশা চালক শাকিলের কিশোরী মেয়েকে (১৪) বিয়ের প্রস্তাব দেন জিতু ইসলাম। বয়স বেশি হওয়ায় শাকিল আহম্মেদ মেয়েকে জিতুর সাথে বিয়ে দিতে রাজী হননি। এর জের ধরে শনিবার দুপুরের পর জিতু ও তার লোকজন শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয় যায়। শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে জিতুকে মারপিট করে ফেলে রাখে তারা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান শাকিল।

আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির। 

তিনি বলেন, “গতকাল রাতে নিহত শাকিলের স্ত্রী মালেকা বেগম একটি হত্যা মামলা দায়ে করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা আসামি ধরতে অভিযান পরিচালনা করি। সন্ধ্যা নাগাদই প্রধান অভিযুক্তকে আমরা গ্রেপ্তার করি। পরে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে রাতের মধ্যেই আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।”

এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জিতু ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ঢাকা/এনাম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ