যশোরের অভয়নগরে হাড়ি ফুচকা খেয়ে অন্তত ৫০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, খাবার প্রস্তুতে ত্রুটির কারণে একযোগে এত মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা জানান, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া ভৈরব ব্রিজের পূর্বপাশে মনিরুজ্জামানের চটপটির দোকান রয়েছে। সেখানে হাড়ি ফুচকা নামে ফুচকা বিক্রি হচ্ছিল। ঈদের দিন বিকেলে সেখান থেকে অনেকে ফুচকা খান। রাত ১২টার দিকে তাদের বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে অসুস্থরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.
তিনি আরও বলেন, ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অভয়নগরে প্রবাস ফেরত যুবককে হত্যা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলীতে প্রবাস ফেরত হাসান শেখ (৩০) নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে নাউলী গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে যুবকটির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হাসান শেখ অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসান শেখ দীর্ঘ ৮ বছর কুয়েতে প্রবাসী জীবন শেষ করে আড়াই মাস আগে দেশে ফিরেন। ২ মাস আগে বিবাহ করেন তিনি। শনিবার প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিচ্ছিলেন হাসান। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে তার হদিস পায়নি। আজ ভোরে স্থানীয়রা মাছের ঘেরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, পূর্ব শত্রুতা কিংবা পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা/রিটন/টিপু