ভৈরবে শৌচাগারে হাত–পা, চোখ–মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, কিশোর গ্রেপ্তার
Published: 3rd, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঈদের দিন রাতে ছয় বছর বয়সী এক ছেলেশিশু বাড়ির সামনের সড়কে হাঁটাহাঁটি করছিল। তখন পরিচিত দুই কিশোর শিশুটিকে ধরে একটি মসজিদের শৌচাগারে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হাত–পা, চোখ–মুখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে—এমন অভিযোগে গতকাল বুধবার দুপুরে ভৈরব থানায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বলেন, শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করছিল। একপর্যায়ে মা–বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে গত মঙ্গলবার শিশুটিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
শিশুটির বাবা বলেন, অভিযুক্ত দুজনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিচার চেয়েছেন। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মামলা করায় এখন কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সালিসের মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত এক কিশোরের বাবা বলেন, বিশেষ কোনো কারণে তাঁর ছেলেকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, শিশুটির পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই কিশোরের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু