অপরাধ দমনে নারায়ণগঞ্জ শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
Published: 3rd, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় চাষাঢ়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন বিজয়স্তম্ভ, শহীদ মিনার, মিশন পাড়ার মোড়, বালুর মাঠ এবং ডাক বাংলোর মোড়কে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জবাসীর নিরাপদ চলাচল, যানজট নিরসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সিসিটিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এলাকাটির নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকর হবে।”
তিনি আরো বলেন, “শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে, যা নারায়ণগঞ্জকে একটি আধুনিক ও নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, “প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে শহরের ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র য়ণগঞ জ র আওত য়
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।