কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বসুয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে একদল দুর্বৃত্ত মুজিবুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা তিনতলা ভবনের নীচতলা ও দোতলায় ভাঙচুর করে। সর্বশেষ ভবনের নীচতলায় পড়ে থাকা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, ‘‘শনিবার আসরের নামাজের পর একদল দুর্বৃত্ত ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা চৌদ্দগ্রামে থাকবে না’ স্লোগান দিতে দিতে মজিবুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর পুনরায় তারা মিছিল করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।’’

আরো পড়ুন:

কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা

নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও আসে। কিন্তু, এর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় এবং হামলাকারীরাও চলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

ঢাকা/রুবেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন জ ব ল হক র ব ড় ত ম জ ব ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী