লাইভে ফারুক আহমেদ, নাসরিন বললেন, ক্যামেরা বন্ধ করো....
Published: 6th, April 2025 GMT
দুই দিন ধরে অভিনেতা ফারুক আহমেদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে যাচ্ছেন, সন্ধ্যা ৭টায় একটি অবাক করা ভিডিও ছাড়বেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘আজ রবিবার’ নাটকের ফুলিকে ভিডিওতে দেখতে পারবেন। প্রথম দিন কথামতো সেই ফুলিকে লাইভে নিয়ে আসতে না পারলেও গতকাল শনিবার কথা রেখেছেন এই অভিনেতা। কথামতো সেই ফুলিকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এলেও আটকে রাখা যায় না ফুলি চরিত্রের অভিনেত্রী নাসরিন নাহারকে। ফেসবুক লাইভ বুঝতে পেরেই দ্রুত লুকিয়ে গেলেন ‘আজ রবিবার’ দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অভিনেত্রী।
‘২৮ বছর পরে “আজ রবিবার” নাটকের সেই ফুলি এখন কেমন আছেন। ভিডিওতে দেখতে থাকুন’—কথাগুলো বলতে বলতেই ফেসবুক লাইভ করছিলেন নাটকের সেই মতি চরিত্রের অভিনেতা ফারুক আহমেদ। লাইভে তিনি স্ত্রীকে ডাকেন। এই অভিনেতার স্ত্রী নাসরিন নাহার কিছুটা দূর থেকে পাশে আসেন। তখনো তিনি বুঝতে পারেননি, তাঁকে ফেসবুক লাইভে ভক্তদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ফারুক আহমেদ ও নাসরিন নাহার। ছবি: সংগৃহীত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।