৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা সেখানে অবস্থান নেন।

একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘পিএসসির চেয়ারম্যান স্যার পরীক্ষা পেছানোর জন্য তিন দিন সময় চেয়েছিলেন। আজ দুদিন পার হলো। আগামীকাল শুক্রবার। তাই আজকের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত চাই। এ জন্য অবস্থান নিয়েছি।’

এ ব্যাপারে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম বলেন, তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যাগুলো বিচার বিশ্লেষণ করছেন। তাঁদের কথা শুনবেন বলে তিনি জানান।

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর থেকে একদল লোক নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সেখানে বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁরা আজ পিএসসি ঘেরাও করেনি।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেই সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কার্যালয়।

গত মঙ্গলবার ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পিএসসির সামনে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৬ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভ, পিএসসি ঘেরাও০৮ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর প র র থ অবস থ ন ন প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী