বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা দ্বীপ ‘ভাসানচর’ এর মালিকানা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার না নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার- সে সিদ্ধান্ত হয়নি। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন ও দিয়ারা জরিপের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নূরী উল্লাহ নূরী। সভায় সন্দ্বীপের পক্ষে সাংবাদিক সালেহ নোমান ও নোয়াখালীর পক্ষে এনসিপি নেতা আব্দুল হান্নান মাহসুদসহ অনেকে নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নূরী উল্লাহ নূরী বলেন, কমিটির সবাই নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন। সন্দ্বীপের পক্ষে সন্দ্বীপের প্রতিনিধি ও হাতিয়ার পক্ষে হাতিয়ার প্রতিনিধি বক্তব্য দেন। সবার মতামত শুনে দুই জেলার ডিসির কাছ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দিয়ারা জরিপ পর্যালোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন ভাসানচর কার।

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অনুমোদনে ২০১৬-১৭ সালের দিয়ারা জরিপে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৬-১৭ সালেই নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কেউয়ারচর) দিয়ারা জরিপ শেষ করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। এর ফলাফল ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি গেজেটে ভাসানচর অংশের ছয়টি মৌজা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও সন্দ্বীপের মানুষ এ জরিপকে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রভাব বিস্তার করে তৈরি করা বলে অভিযোগ করে আসছেন।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ স নচর উপজ ল র ভ স নচর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ