ফেনীতে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজন নিহত
Published: 11th, April 2025 GMT
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় একটি মালামাল বোঝাই ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার এয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরিফপুরের ইউনিক গ্যাস পেট্রল পাম্প এলাকায় দাগনভূঞা-বসুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশাটির চালক নজরুল ইসলাম (৩৫) ও যাত্রী মো. রাজিব (২৩)। নজরুল দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের ওসমান আলী সারেং বাড়ির মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক নজরুল নিহত হন। আহত অবস্থায় যাত্রী রাজিবকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সেখান থেকে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর টাকটির চালক পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এবং আসামি গ্রেপ্তারে বিলম্ব করার অভিযোগ এনে বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদের অপসারণের দাবি মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় সেতাবগঞ্জ চৌরাস্তায় মানববন্ধন শেষে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে থানার প্রধানগেটে মিছিল করে স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সন্ত্রাসী হামলায় আহত শাহরিয়ার শিশিরের বাবা সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সেতাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নওশাদ আলী, দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেদওয়ানুল কারীম রাবিদ, পৌর বিএনপির উপদেষ্টা এমওয়ালী ফ্লাড, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াদ হাসান চৌধুরী, এমরুল রেজা, মাসুদ খাঁন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রীতি আক্তার নিশি, সাবেক কাউন্সিলর মামুন প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী সমাবেশ
মুন্সীগঞ্জে গুমে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
তারা বলেন, বোচাগঞ্জের মাটিতে একের পর এক সন্ত্রসী ঘটনা ঘটছে কিন্তু বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ সরকার সেই সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে মামলা নেন না। কারণ ওই সন্ত্রাসীরা হলেন তথাকথিত সমন্বয়ক ফয়লাল মোস্তাকের ক্যাডার বাহিনী। তিনি মামলার বাদীকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর নাম বাদ দিয়ে মামলা করতে বাধ্য করেন। তার পরও এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না।
তারা অবিলম্বে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণ ও কিশোর গ্যাংয়ের সকল সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ সরকার জানান, গত ৯ জুন সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শাহরিয়ার শিশিরকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা আমার কাছে অবৈধভাবে সুবিধা নিতে পারেননি। তাদের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করছেন। আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। আর যে মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। ওই মামলার আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন বলে আমি আদালত মারফত জানতে পেরেছি।’’
ঢাকা/মোসলেম/বকুল