চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি নুরুল, সম্পাদক দেলওয়ার
Published: 12th, April 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার ২০২৫-২০২৮ মেয়াদের নির্বাহী কমিটিতে ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলাম সভাপতি ও অ্যাড. দেলওয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার সমিতির অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যৌথ সভায় এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. মশিউর রহমান ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো.
এছাড়া নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ও ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক ফুরকান হাবিব, কোষাধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সারিউল ইসলাম রাজু (সদর), মেজর (অবঃ) মোঃ আমিরুল ইসলাম (শিবগঞ্জ), মোহাঃ আবুল কালাম আজাদ (ভোলাহাট), মোঃ মশিদুল হক (নাচোল) ও মোঃ কামরুল হাসান (গোমস্তাপুর)। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌ. শামিম আহমেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আনারুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসা. রেবেকা সুলতানা ও দপ্তর সম্পাদক জনাব সৈয়দ নাজমুল ইসলাম (মানিক) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন- মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. দুরুল হুদা, আব্দুল কাদের, আনোয়ারুল শোয়েব, মো. শফিকুল ইসলাম, সারিউল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশফাকুল আশেকীন, মো. মাহ্ফুজ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম (মাসুম) ও এ্যাড. ইব্রাহিম খলিল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি