শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় কুয়া সংস্কার করতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে দুই ভায়রার মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার শালচূড়া ভূঁইয়া বাড়ি গ্রামের নীলমোহন কোচের ছেলে নিরঞ্জন কোচ (৩৫) ও রাংটিয়া গ্রামের নিপুরাম কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ (৪৫)। তাঁরা উপজেলার রাংটিয়া গ্রামের গণেন্দ্র কোচের দুই মেয়ের জামাতা। এ ঘটনায় রাংটিয়া গ্রামের নিধিরাম কোচের ছেলে মহা কোচ (৩০) আহত হয়েছেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে শালচূড়া ভূঁইয়া বাড়ি গ্রামের নিরঞ্জন কোচের বাড়িতে পানি সংগ্রহের জন্য একটি কুয়া তৈরির কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ না হওয়ায় সেটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। আজ বিকেলে ভেতরে জমে থাকা ময়লা পানি পরিষ্কার ও সংস্কার করতে ঢাকনা সরিয়ে কুয়ার ভেতরে নামেন নিরঞ্জন কোচ। এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁকে (নিরঞ্জন) বাঁচাতে তাঁর ভায়রা (স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী) কুয়ার ভেতরে নামলে তিনিও অচেতন হয়ে পড়েন। এ দৃশ্য দেখে আরেক স্বজন মহা কোচ কুয়ায় নামার চেষ্টা করলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কুয়ার ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় নিরঞ্জন ও নারায়ণকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত মহা কোচকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন কুয়াটি ঢাকনা দিয়ে বন্ধ রাখায় ভেতরে গ্যাস জমেছিল। এতে কুয়ায় নামার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের অভাবে তাঁরা মারা যান। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ সৎকারের জন্য হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ