গ্লোবাল স্টাডিজ কোর্সের অংশ হিসেবে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) নিজেদের ক্যাম্পাসে মানবাধিকার নিয়ে সেমিনার আয়োজন করেছিলেন ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের (ইউসিবিডি) শিক্ষার্থীরা। সেমিনারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকার সংকট ও এর সমাধানে শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়।

মানবাধিকার–সংশ্লিষ্ট বিষয়, যেমন নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব গঠনে এনজিওগুলোর ভূমিকা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা ছিল এ সেমিনার আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের (ইউসিবিডি) প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল এবং একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এরপর শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনা পর্ব শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার ফর জেন্ডার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস আবু সাইয়েদ সুমন, ইউনেসকো পিস আর্টিস্ট ও বিবি প্রোডাকশন্সের প্রতিষ্ঠাতা বিবি রাসেল এবং বিডিআরসিএসের পরিচালক সায়মা ফেরদৌসী বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে ইউএনএফপিএর জেন্ডার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসবিষয়ক ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আবু সাইয়েদ সুমন বলেন, ‘জাতিসংঘ সরকারকে প্রমাণভিত্তিক নীতি প্রণয়ন করতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি সুশীল সমাজ, তরুণ ও নাগরিকদেরও তাদের অধিকার দাবি করার ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী তাদের জীবনে কোনো না কোনো সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গত ১২ মাসে ৪১ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি; যেখানে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আলোচনায় তুলে আনতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছি। পরামর্শ প্রদান, তথ্য সংগ্রহ ও নীতিগত সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা সরকারের উদ্যোগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড এবং দেশের নারী ও শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করা যায়।’

আরও পড়ুনআমেরিকা ও ইউরোপের বাইরে এশিয়ার সেরা ৫ বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো৩১ মার্চ ২০২৫ছবি: বিজ্ঞপ্তি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ