এমবাপ্পের লাল কার্ড, এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ
Published: 14th, April 2025 GMT
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। পারফরম্যান্সের অধারাবাহিকতার সঙ্গে উটকো ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে ইউরোপের সেরা এই ক্লাবটির।
রোববার লা লিগার ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দলের বিপক্ষে সাচ্ছন্দ্যে ছিল না ক্লাবটি। কেননা ম্যাচে দশ জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছে অধিকাংশ সময়ে। ৩৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
আন্তোনিয়ো ব্লাঙ্কোকে মারাত্মক ফাউল করেন এমবাপ্পে। শুরুতে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।
আরো পড়ুন:
চড়া মূল্যে শীর্ষে উঠল বার্সা
৭২ ঘণ্টার বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামবে না রিয়াল
লাল কার্ডের পর, এমবাপ্পের নিষেধাজ্ঞার দৈর্ঘ্য নিয়ে উদ্বেগ ছিল কারণ এই মাসের শেষের দিকে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে তার উপস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারত, যদি তাকে তিন বা চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হত।
মাদ্রিদ নিউজ এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে, এমবাপ্পে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। তাতে এ সপ্তাহের শেষ দিকে অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে না। পরের সপ্তাহে গেতাফের বিপক্ষে খেলতে পারবেন।
আগামী ২৬ এপ্রিল সেভিলে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে তার খেলতে কোনো বাধা থাকল না। যা লস ব্লাঙ্কোসদের জন্য বিরাট স্বস্তির খবর। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতিমধ্যেই দুটি ট্রফি জিতেছেন এমবাপ্পে।
এদিকে লাল কার্ড ও মাঠের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফরাসি তারকা। কোচ কার্লো আনচেলত্তির নিষেধাজ্ঞায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন দাভিদে আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দাভিদে বলেছেন, ‘‘কিলিয়ান উগ্র ছেলে নয়। সে কী করেছে সেটা বুঝতে পেরেছে এবং সে ক্ষমাও চেয়েছে। ওটা পরিষ্কার লাল কার্ড পাওয়ার মতো ফাউল ছিল এবং সে ফল ভোগ করেছে।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ক ল য় ন এমব প প ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।