রাজধানীতে দম্পতির ইয়াবা কারবার, গ্রেপ্তার ১
Published: 16th, April 2025 GMT
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ নম্বর থেকে কোটি টাকার ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তা (২৮) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, সাথী আক্তার রিক্তা ও তার স্বামী সানজিদ হোসেন ভাড়া বাসায় মাদকের কারবার করে আসছিলেন। তারা দুজন প্রায়ই কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়ে ইয়াবার বড় চালান সংগ্রহ করে এনে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পাইকারি দরে সরবরাহ করেন।
ডিএনসির ঢাকা দক্ষিণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মানজুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ১ কোটি ২ লাখ টাকা দামের ৩৪ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, তার স্বামী সানজিদ হোসেন পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় এসেছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর-১১ নম্বরের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৪ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ সাথী আক্তার রিক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাথী আক্তার রিক্তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক কারবারের তথ্য স্বীকার করেছেন।
সাথী আক্তার রিক্তা ও সানজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
ঢাকা/এমআর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।