দীর্ঘ অপেক্ষার পর কৃষকের সোনালি স্বপ্ন পূরণ করতে হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা উৎসব। বুধবার বেলা ১১টায় বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটার উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, কৃষকদের সহযোগিতায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। হাওরাঞ্চলে পানি সেচের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি কৃষকদের স্বল্প সময়ের মধ্যে গোলায় ধান তুলতে বেশি পরিমাণ ধান কাটার মেশিন আনা হচ্ছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক হারভেস্টার মেশিন চালিয়ে এক কৃষকের জমির ধান কাটেন। হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আকতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম সাথী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।