নিবন্ধন নেই, এমন অভিযোগে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের ১৭০টির বেশি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যের কর্মকর্তাদের দাবি, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। তাই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলদোয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনা করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া গেছে। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই এলাকার সাতটি মাদ্রাসা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই মাসে ১৭০টির বেশি মাদ্রাসা সিলগালা করে দেওয়া হলো।

উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, এ রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদ্রাসা রয়েছে। যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ জমা দেয়ে। কিন্তু ৫০০টির বেশি মাদ্রাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫

এদিকে গত মঙ্গলবার কংগ্রেস বিজেপিশাসিত উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে রাজ্যে অনিবন্ধিত মাদ্রাসা বন্ধের জন্য অতিরিক্ত অভিযান চালানোর অভিযোগ করেছে। গত মঙ্গলবার কংগ্রেস উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে। সংখ্যালঘু তোষণের জন্য বিরোধীদের আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।

মঙ্গলবার উত্তরাখন্ড কংগ্রেসের সহসভাপতি সূর্যকান্ত ধাসমানা রাজ্যের মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ‘এটি স্পষ্টতই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে তৈরি করা হচ্ছে। তারা (সরকার) মেরুকরণের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুনফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম, আইইএলটিএসে ৭ স্কোরে বৃত্তির আবেদন৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জ য সরক র র কর মকর ত ন বন ধ পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ