বেসিসের নির্বাচন বোর্ড গঠন করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কবে
Published: 17th, April 2025 GMT
দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস) প্রশাসক নিয়োগের পর এবার সংগঠনটির ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
অফিস আদেশে বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুফিয়া আক্তারকে। অন্য দুই সদস্য হলেন উপসচিব সন্দ্বীপ কুমার সরকার ও সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক (উপনিয়ন্ত্রক) সিরাজুল ইসলাম। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে যুগ্ম সচিব শায়লা ইয়াসমিনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন উপসচিব মাজেদুল ইসলাম ও রেজাউল করিম।
আরও পড়ুনএবার বেসিসে প্রশাসক নিয়োগ দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়০৪ ডিসেম্বর ২০২৪বেসিসের নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠনের বিষয়ে জানতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোনকল করার পাশাপাশি খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া দেননি আদেশে সই করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন। বেসিস প্রশাসক মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ পদত্যাগ করেন। এরপর এক সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সভাপতি হন এম রাশিদুল হাসান। সেই কমিটিও বেশি দিন কাজ করতে পারেনি। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর বেসিসে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যোগদানের পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেসিসে নির্বাচন হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপসচ ব
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’