স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপের ছবি ও ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে
Published: 17th, April 2025 GMT
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ‘স্টোরেজ ফুল’ বার্তাটি এখন এক বিড়ম্বনার নাম। হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো ছবি বা ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে ফোনের ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই বার্তা পেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপের স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড-সুবিধা বন্ধ করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড-সুবিধা বন্ধের জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের ওপরের ডান কোণে থাকা তিনটি ডট আইকনে ট্যাপ করে ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে। এরপর ‘চ্যাটস’ অপশনে প্রবেশ করে ‘মিডিয়া ভিজিবিলিটি’র পাশে থাকা টগলটি বন্ধ করতে হবে। এই পরিবর্তনের ফলে হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো কোনো ছবি বা ভিডিও নতুন করে ফোনের গ্যালারিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে না। হোয়াটসঅ্যাপে চাইলে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিগত চ্যাট বা গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড-সুবিধা বন্ধ করা যায়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চ্যাট অপশন খুলে ওপরে থাকা প্রোফাইল নাম বা ছবিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে ‘মিডিয়া ভিজিবিলিটি’ থেকে ‘নো’ অপশন নির্বাচন করে ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ড উনল
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত