অবসরের সময় হয়ে গেছে—আইপিএলে ‘সুপার ফ্লপ’ রোহিতকে নিয়ে শেবাগ
Published: 18th, April 2025 GMT
এমন চলছে বছরের পর বছর। রোহিত শর্মা আইপিএলে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলেন আর ব্যর্থ হন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তাঁর রান মোট ৮৪। বোঝাই যাচ্ছে ‘সুপার ফ্লপ’। আইপিএলে এমন রোহিতকে দেখে ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো বলেই দিয়েছেন, রোহিতের অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে।
আইপিএলে রোহিত ২০১৩ সালের পর কখনো এক মৌসুমে ৫০০ রান করতে পারেননি। এ সময়ে ৪০০ রানের ক্লাব ছুঁয়েছেন মাত্র ৪ মৌসুমে।
২০১৬ সালের পর থেকে ২০২৩ সালের আইপিএল পর্যন্ত ৭ মৌসুমে কখনো ৩০ গড়েও রান করতে পারেননি। এ সময়ে গড়ের হিসাবে তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০২১ সালে। সেবার ১৩ ম্যাচে ২৯ গড়ে ৩৮১ রান করেছিলেন রোহিত।
রোহিতের সঙ্গে একই সময়ের ডেভিড ওয়ার্নারের তুলনা দেওয়া যেতে পারে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪—এ সময়ে ওয়ার্নার আইপিএলে ৫০০–এর বেশি রান করেছেন সাতবার। বিরাট কোহলি পাঁচবার, যেখানে ২০১৬ সালে করেছেন ৯৭৩ রান। ২০২৩ সালে ৬৩৯, গত বছর ৭৪১ রান।
আর ১০টা বল নাও, কিন্তু অন্তত টিকে থাকো এবং নিজেকে একটা সুযোগ দাও। বারবার ও ব্যাক-অব-দ্য-লেংথ ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে আউট হচ্ছে। তাই রোহিতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এক ইনিংসে ও একবারও পুল শট খেলবে না।ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগআইপিএলে স্ট্রাইক রেটও কখনোই আহামরি ছিল না রোহিতের। আইপিএল ক্যারিয়ারে রোহিত সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন গতবার—১৫০।
রোহিতকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এ কারণেই। কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ৪ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ২৬ রানে আউট হওয়া রোহিতকে নিয়ে ক্রিকবাজে শেবাগ বলেছেন, ‘রোহিতের অবসরের সময় হয়ে গেছে এবং এর আগে তার এমন কিছু দেওয়া উচিত ভক্তদের, যা মনে রাখার মতো হয়—এমন কিছু যা মানুষকে ভাবায়, ‘ওকে এখন বাদ দিচ্ছে না কেন?’
রোহিতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শেবাগ বলেছেন, ‘যদি আপনি গত ১০ বছরে রোহিতের আইপিএলের পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে দেখবেন ও মাত্র একবারই ৪০০ রানের বেশি করেছে। অর্থাৎ ও সেই ধরনের খেলোয়াড় না যে ভাবে তাকে ৫০০ বা ৭০০ রান করতেই হবে। কিন্তু যদি রোহিত ভাবে, তাহলে হয়তো করতেও পারে। যখন ও ভারতের অধিনায়ক হয়, তখন বলেছিল সে এমন একজন খেলোয়াড় হতে চায় যে পাওয়ারপ্লেতে সুযোগ নেবে, ঝুঁকি নেবে—সব আত্মত্যাগ নিজে করতে চায়। কিন্তু সে এ বিষয়টা বিবেচনা করছে না, যখন নিজে পারফর্ম করছে না, তখন ওর নিজের লিগ্যাসিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি
২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতের কথা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে লিগে টানা ষষ্ঠ জয় আদায় করে নেয় বার্সেলোনা। কিন্তু জিতেও যেন স্বস্তি ছিল না বার্সা শিবিরে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়ে যে স্ট্রেচারের করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শূন্যে লাফিয়ে বল ধরার পর পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে এই চোট পান জার্মান গোলরক্ষক।
সে সময়েই বোঝা যাচ্ছিল, খারাপ কোনো খবর পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। হয়েছেও তাই। জানা যায়, গুরুতর এই চোটে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে টের স্টেগেনের। দলের প্রধান গোলরক্ষককে হারিয়ে বার্সার তখন পাগলপ্রায় দশা।
ইনিয়াকি পেনিয়া দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে থাকলেও মৌসুমজুড়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিনই ছিল। আর কোনো কারণে যদি তাঁকেও হারাতে হয়, তখন কী হবে! সব মিলিয়ে বার্সার আরেকজন গোলরক্ষককে দলে টানা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু লা লিগার দলবদলের দুয়ার তখন বন্ধ হওয়ায় বিকল্প পথের সন্ধান করতে হয় বার্সাকে। এর মধ্যে একটা পথ পেয়েও যায় তারা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বিশেষ শর্ত মেনে গোলরক্ষক ভেড়ানোর সুযোগ পায় কাতালান ক্লাবটি। শর্তটি হচ্ছে চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়টিকে চার মাসের বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হবে।
আরও পড়ুনআলিসন ও সেজনি: মানব থেকে অতিমানব০৬ মার্চ ২০২৫পাশাপাশি যে খেলোয়াড়টি তারা নেবে, তাঁকে ফ্রি এজেন্ট হতে হবে এবং দলবদল শেষ হওয়ার আগেই আগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন যে গোলরক্ষককে তারা কিনবে, তাঁকে আহত গোলরক্ষকের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার অনুমতি পাবে ক্লাবটি। যেমন বার্সায় টের স্টেগেন বেতন পান বছরে ৯০ লাখ ইউরো। এখন নতুন গোলরক্ষকের বেতন হতে পারবে বছরে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ইউরো।
এত শর্ত মেনে খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সহজ ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই কঠিন শর্তই বার্সাকে পৌঁছে দেয় ভয়চেক সেজনির কাছে। যিনি এক মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করে হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।
দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে সেজনির উদ্যাপন