চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার ভোরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

দগ্ধ দুই নারী হলেন- রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিটিয়াপাড়াশান্তিনগর গ্রামের লায়লা (৫০) ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জালালিহাট উজির আলী মাঝির বাড়ির ঝর্ণা (৩০)।

সিএনজি অটোরিকশা চালক মো.

জামি বলেন, যাত্রীরা রাউজান উপজেলা থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো চামড়াগুদাম এলাকায় পৌঁছালে তিনজন মুখোশধারী পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে সিএনজিতে আগুন ধরে দুই যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। বাকি তিন যাত্রী অক্ষত আছেন। অটোরিকশার সিলিন্ডার লাইন টেনে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটেনি। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, ভোরে আগুনে দগ্ধ সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী হাসপাতালে আসেন। তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবা থানায় আটকা ২৬ ঘণ্টা 

ছেলে বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। আজ সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার গারোদখানায় রয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন এসআই তুষার। 

ভ্যানচালক ফজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন এসআই তুষার। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়েছে।’ তবে কী অভিযোগে আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ফাউ কথা না বলে, জায়গায় কথা বলতে বলেন।’ 

ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার টোকন নামে এক ব্যক্তি হুন্ডির ব্যবসা করেন। নূর এন্টার প্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হুন্ডির ব্যবসা করেন। আমার ছেলে সজল ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি গাফ্ফারের কাছে বকেয়া বেতন দাবি করায় ছেলের সর্বনাশ হয়েছে। প্রথমে সজলের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন গাফ্ফার। এ টাকা জন্য জমি লিখে দেওয়ার চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে তার ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন গাফ্ফার। অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য থানা-পুলিশ সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে আত্মগোপন করায় রোববার সন্ধ্যায় এসআই তুষার আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেন। এর পর থেকে তিনি থানার গারদে রয়েছেন।’ 

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারাদিন জেলা সদরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ