আজ যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে লিভারপুল
Published: 20th, April 2025 GMT
ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সবার আগে নিশ্চিত হয়েছে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁর শিরোপা। রীতিমতো একচ্ছত্র দাপট দেখিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে লুইস এনরিকের পিএসজি। এবার দ্বিতীয় লিগ হিসেবে শিরোপা নির্ধারণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। যেখানে আজ রাতেই নিশ্চিত হতে পারে লিভারপুলের শিরোপা জয়।
গত মৌসুম শেষে লিভারপুল ছেড়ে যান ইয়ুর্গেন ক্লপ। জার্মান এই কোচের বিদায়ের পর অনেকের মাঝে শঙ্কা ছিল লিভারপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ক্লপবিহীন লিভারপুল আদৌ শিরোপার দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন অনেকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দারুণভাবে মৌসুম শুরু করে আর্নে স্লটের দল।
একপর্যায়ে সম্ভাব্য চার শিরোপার সবগুলোতে ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল লিভারপুলকে। যদিও সেই ছন্দ শেষ দিকে ধরে রাখতে পারেনি তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো এবং এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় তারা। আর লিগ কাপের ফাইনালে হারে নিউক্যাসলের কাছে। তবে তিনটি শিরোপা হাতছাড়া করলেও তত দিনে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুনসালাহর রেকর্ডে শিরোপা থেকে ৬ পয়েন্ট দূরে লিভারপুল১৩ এপ্রিল ২০২৫পাশাপাশি আর্সেনাল ও নটিংহাম ফরেস্টের মতো দলগুলোও লিভারপুলকে বেশ সহায়তা করেছে। নিজেদের ভুলে বেশ কিছু ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে তারা, যার সুবিধা পেয়েছে লিভারপুল। সব মিলিয়ে এখন ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে লিভারপুল। আর ‘অল রেড’দের এই স্বপ্নপূরণ হতে পারে আজ রাতেই।
লিভারপুল এখন চূড়ান্ত উদ্যাপনের অপেক্ষায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।