খুলনার একাধিক স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পর পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। রোববার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জন এবং খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, লবণচরা, হরিণটানা, খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করে। তারা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। 

এদিকে এর আগে সকাল ৭টায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগ। দুপুরে নগরীর বয়রা এলাকার জলিল সরণি ও আড়ংঘাটা বাইপাস এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া শিরোমনি এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করে তারা। 

অন্যদিকে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি ও এনসিপি। বিএনপি নেতারা এক বিবৃতিতে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এনসিপি দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি জানায়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক আওয় ম ল গ ন ত কর ম ম ছ ল কর এল ক য় আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ